Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঁশদ্রোণী

১৮ ঘণ্টার চেষ্টায় ব্যর্থ দমকল, শেষমেশ কুয়ো মিস্ত্রির সাহায্যে বাঁশদ্রোণীতে উদ্ধার যুবকের দেহ

দমকল কর্মীদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নিহতের পরিজনরা।

Youth's body recovered from the well in Banshdroni
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 28, 2019 9:43 am
  • Updated:December 28, 2019 9:43 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজের পালা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে অপারেশন। তবে তা সত্ত্বেও বাঁশদ্রোণীর কুয়োয় পড়ে যাওয়া যুবককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হল না। পরিবর্তে শনিবার সকালে উদ্ধার হল সম্রাট সরকার নামে ওই যুবকের নিথর দেহ। উদ্ধারকারীদের দাবি, উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় একাধিক সরঞ্জাম ছিল। তবে কুয়োর বেড় সংকীর্ণ হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। তাই সঠিক সময়ে ওই যুবককে উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে পাতকুয়ো মিস্ত্রিদের সাহায্য নিয়ে ওই যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বাঁশদ্রোণীর রিজেন্ট পার্কের সোনালি পার্ক এলাকায় বাস সম্রাট সরকারের। বছর আঠাশের ওই যুবক পাড়ায় বাপি নামে পরিচিত ছিলেন। মৃগী ছিল তাঁর। সেই কারণেই সম্ভবত তাঁর কোনও কর্মসংস্থান ছিল না। বিয়েও করেননি তিনি। শুক্রবার কুয়োর পাশে স্নান করছিলেন বাপি। অনেকে আবার বলছেন, তিনি কুয়োর পাড়ে বাসন মাজতে বসেছিলেন। টাল সামলাতে না পেরে তখনই ৫০ ফিট কুয়োয় পড়ে যান বাপি। গোটা ব্যাপারটি বুঝতে পেরে আশপাশের মানুষ তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এরপর খবর দেওয়া হয় দমকলে।
প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই রাতের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও। ডুবুরিও নামানো হয়। তবে জানা যায়, কুয়োটি ছিল প্রায় ৫০ ফিট গভীর। বাপিকে উদ্ধারের জন্য যে ডুবুরি নামানো হয়েছিল, তিনি প্রায় ৩০ ফিট পর্যন্ত নামতে পারেন। তারপরই তাঁকে উঠে আসতে হয়। অক্সিজেনের অভাব ও ঠান্ডায় তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে বাধ্য হয়ে দমকল পাম্প চালিয়ে কুয়োর জল বের করার কাজ শুরু করে। কিন্তু বাপির দেহ আটকে গিয়েছিল কুয়োর নিচের পাঁকের মধ্যে। ফলে সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। এছাড়াও কুয়োর বেড় ছিল যথেষ্ট সংকীর্ণ। তাই স্বাভাবিকভাবেই একাধিক সরঞ্জাম থাকলেও সেভাবে কাজ করতে পারেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গেস্ট হাউসে আটকে রেখে কলেজছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’, গ্রেপ্তার সহপাঠী]

এরপর শনিবার সকালেও জল ছেঁচে ফেলার কাজ শুরু হয়। কুয়োয় নামে পাতকুয়ো মিস্ত্রি মেঘনাদ সরকার ওই কুয়োয় নামেন। মাটি কেটে মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাপির নিথর দেহ উদ্ধার করা হল। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ নিহতের পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, বাপিকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রথমেই পাতকুয়ো মিস্ত্রির সাহায্য নিলে এমন অঘটন ঘটত না। আপাতত বাপির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তারপরই তাঁর দেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ