সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিয় অভিভাবক শিশুর নির্ঘুম রাত কিন্তু আপনার ঘুম কেড়ে নেবে খুব শিগগির। কেন না ঘুমের পরিমাণের উপরেই নির্ভর করছে আপনার শিশুর খাদ্যাভ্যাস। আর খাদ্যাভ্যাসের হাত ধরেই আসছে ওজনের প্রসঙ্গ। অনিয়মিত ঘুম কিন্তু শৈশবেই স্থূলতাকে ডেকে আনে। গবেষণা বলছে, শৈশবে ওবেসিটিতে আক্রান্ত হলে তার জের প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থাতেও পড়ে। শৈশবের ওবেসিটিই ক্যানসারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধিকে জন্ম দিতে পারে।
[জানেন, ডায়েট চার্টের কোন খাবারগুলি গর্ভধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়?]
এই প্রসঙ্গে গবেষক বার্নার্ড ফিউমেলার জানিয়েছেন, ঘুমানোর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। ওবেসিটির পিছনে এই প্রকারভেদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আজ আপনার কিশোর ছেলেমেয়ে ওবেসিটিতে আক্রান্ত হতে পারে। তখন মিছিমিছি চিন্তিত না হয়ে মনে করুন শৈশবে তারা কীভাবে ঘুমাতো। কতক্ষণ ঘুমাতো। ঘুমের সঙ্গে ওবেসিটির একটা সংযোগ রয়েছে। ১২০ জন ছেলেমেয়ের উপরে এই গবেষণা চালানো হয়েছে। মূলত ১২০ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে প্রথমে গবেষণার জন্য নির্বাচন করা হয়। তারপর তাঁদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা চলে। বাচ্চা জন্মানোর পর মায়ের জায়গায় বাচ্চাকে গবেষণার অঙ্গ করা হয়। আটবছর বয়স পর্যন্ত লিঙ্গ অনুযায়ী বাচ্চার খাদ্যাভ্যাস, ঘুমানোর ভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করতেই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। জানা যায়, স্থূলতা সাধারণত শৈশবেই হানা দেয়। অত্যন্ত আদরের বাহুল্যে সেটা খেয়ালই করেন না অভিভাবকরা। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়াতে গিয়ে আদতে বাচ্চারই ক্ষতি করছেন। বাড়ছে ক্যানসারের সম্ভাবনা। ৫ দিন ধরে বাচ্চার খাওয়ার অভ্যাস, খাবারের পরিমাণ, ঘুমানোর ভঙ্গি ও ঘুমের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে আপনার সন্তান ভবিষ্যতে ওবেসিটিতে ভুগবে কিনা। বাচ্চাদের প্রথমে খেতে দিতে হবে। কতক্ষণে তারা খাচ্ছে সেটা খেয়াল রাখুন। খাওয়ার পরে দেখুন একবারে ঠিক কত পরিমাণে বাচ্চারা খেল।
বাচ্চার ঘুমের পরিমাণ কমলে পাল্লা দিয়ে কমবে বিএমআই। একই সঙ্গে কমবে বাচ্চার কোমরের মাপ। বাচ্চারা নিজেদের মতো টুকটাক কাজকর্ম করে। এই কাজকর্ম ও ঘুমের মধ্যেকার সময়ের উপরে কোমরের আকার বেড়ে যাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে।
তথ্য বলছে, আজকালকার বাচ্চারা খুব একটা ঘুমোয় না। শোবার ঘরেই নানারকম বিনোদন সামগ্রীই এরজন্যে দায়ী। যাই হোক, এই নির্ঘুম পরিস্থিতিই আপনার বাচ্চাকে ওবেসিটির দিকে ঠেলে দিতে পারে। আর এই স্থূলতার প্রবণতা ভবিষ্যতে ক্যানসারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। কেননা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের সঙ্গে ওবেসিটির একটা প্রত্যক্ষ সংযোগ রয়েছে। তাই ছেলেবেলায় ওবেসিটিকে রুখতে পারলে ভবিষ্যতের ক্যানসারকেও প্রতিরোধ করা যাবে।