সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথ্য চুরি বিতর্কে এবার মার্কিন সেনেটে সাফাই দিলেন মার্ক জুকারবার্গ। জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ নিয়ে উদ্বেগের জবাব দিলেন বিশ্বের এক নম্বর সোশ্যাল সাইট ফেসবুকের সিইও জুকারবার্গ। পাশাপাশি জানালেন ভারতের নির্বাচনকে সুরক্ষিত করতেও সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ ফেসবুক কোনওভাবেই নির্বাচনে নাক গলানো বা জনগণের মতামতকে প্রভাবিত করার মতো কাজ করবে না।
[এবার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিটের ডাক দিলেন হোয়াটসঅ্যাপের সহ কর্ণধার]
মঙ্গলবার, মার্কিন সেনেটের সদস্যদের জুকারবার্গ জানান, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মেসেজ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এই মেসেজগুলি ফেসবুক সিস্টেমসের নজরের বাইরে। ফলে ওই প্ল্যাটফর্মে পাঠানো বার্তাগুলি আপাতত অবাঞ্চিত হাতে যাওয়ার ভয় নেই। আগেই তথ্য চুরির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিলেন জুকারবার্গ। তারপরই ডেটা চুরির আশঙ্কায় ভুগছিলেন গ্রাহকরা। তবে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার বয়ানে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। তথ্য চুরি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের একাধিক অভিযোগে জর্জরিত জুকারবার্গ। এই ঘটনায় প্রভাব পড়েছে ফেসবুকের শেয়ারের দামেও। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সংস্থাটি।
এদিন ক্যাপিটল হিলসে সেনেটের ‘জুডিসিয়ারি এন্ড কমার্স কমিটি’র যৌথ শুনানিতে বয়ান দেন জুকারবার্গ। তথ্য চুরির অভিযোগ স্বীকার করে সেখানে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান তিনি। তিনি বলেন, “২০১৮ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর। এই বছরই নির্বাচন হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তানে। আমরা সমস্ত সম্ভব চেষ্টা করব যাতে এই নির্বাচনগুলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।” আত্মপক্ষ সমর্থন করে এদিন জুকারবার্গ বলেন, “নিজেদের দায়িত্বের বিস্তার সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি ফেসবুক। এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা হয়েছে।”
২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ করা নিয়ে মুখ খোলেন জুকারবার্গ। তিনি স্বীকার করে নেন, ফেসবুকে রাশিয়ানদের কার্যকলাপ জানতে অনেকটাই দেরি করে ফেলে সংস্থাটি। যার ফলে লাভান্বিত হন প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্চ মাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি করে মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে ‘কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’র বিরুদ্ধে। তথ্য চুরির দায় কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মার্ক। কিন্তু এত বড় চুরি যেন দ্বিতীয়বার না ঘটে, তার জন্য এবার বড়সড় পদক্ষেপ করছে ফেসবুক। এর আগেও অবশ্য তথ্য চুরি ঠেকাতে থার্ড পার্টি অ্যাপসের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে ফেসবুকে। কিন্তু সে সব পদক্ষেপ যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডেটা জালিয়াতি রুখতে পারেনি, গত মাসে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কুকীর্তি সে কথাই প্রমাণ করে দিল। জুকারবার্গ আশ্বাস দিয়েছেন, এহেন অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আরও কড়া হবে ফেসবুক।
[কমনওয়েলথে সোনা জিতলেন শ্রেয়সী, ফের ব্রোঞ্জ মিথারভালের]