Advertisement
Advertisement

বসন্তকালে রোগের হাত থেকে নিজেকে বাঁচান এই উপায়ে

এড়িয়ে চলুন ‘ক্রাউডেড প্লেস’।

Follow these basic things to avoid seasonal sickness
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 4, 2017 2:52 pm
  • Updated:July 11, 2018 12:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগভোগে জেরবার৷ সুস্থ থাকার পরামর্শ দিলেন আর এন টেগোর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস৷ লিখছেন গৌতম ব্রহ্ম

ফুটপাথে বসে জুতো সেলাই করেন, আয়করের নোটিস এল ১০ লক্ষ টাকার

‘বসন্ত এসে গ্যাছে’ বলে লোকজন যতই আদিখ্যেতা করুক, এই সময়ই ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ে৷ ঘরে ঘরে হয় সর্দি-কাশি-জ্বর৷ কখনও আবার ডায়েরিয়া৷ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে৷ ‘হিট ক্র্যাম্প’ ও ‘হিট স্ট্রোক’-এর শিকার হয়েছেন বহু মানুষ৷ যত দিন যাচ্ছে ততই রোগের দাপট বাড়ছে৷ গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আগেভাগে এসে পড়েছে ডেঙ্গু-অবতারও৷ কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা৷ মশা নিধনে তৎপরতা বাড়িয়েছে পুরসভাগুলি৷ শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান৷ একটু সচেতন হলেই কিন্তু এড়ানো যায় রোগ-ভোগ৷

Advertisement

[মোদিকে ‘অমর’ হওয়ার পথ বাতলে দিল লস্কর]

ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া:
প্রথমে আসা যাক ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার কথায়৷ এমনিতে বর্ষার আগে-পরে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার উপদ্রব বাড়ে৷ কিন্তু এখন ফেব্রূয়ারি থেকেই ডেঙ্গু শুরু হয়ে যাচ্ছে৷ আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশাও বদলে ফেলেছে নিজের চরিত্র৷ এটা উদ্বেগজনক৷ বিপদ আঁচ করেই কলকাতা পুরসভা জানুয়ারি থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে৷ ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া নিয়ে মহানগরের রাজপথে মিছিল হয়েছে৷ কর্মশালা হয়েছে৷ এটা ভাল লক্ষণ৷ উষ্ণায়নের জন্য পরিবেশ বদলাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া রোধে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করতে হবে৷ এটাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর নিদান৷

আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে৷ প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ জীবাণু ঢুকছে আমাদের শরীরে৷ খাবার-দাবার, জলের মাধ্যমেও ঢুকছে৷ বেশিরভাগ সময়ই আমরা তা সামলে দিই৷ কিন্তু ‘ভাইরাল লোড’ বেশি হয়ে গেলেই সমস্যা৷ অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে৷ যেমন ডেঙ্গু আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টাই অনেককেই কামড়ায়৷ কিন্তু ডেঙ্গু হয় ক’জনের? কিন্তু মাথায় রাখতে হবে জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ দেওয়া চলবে না৷ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হলে অ্যাণ্টিবায়োটিক খেতে হবে ঠিকই৷ কিন্তু অবশ্যই তা ডাক্তার দেখিয়ে৷ না হলে হিতে বিপরীত হবে৷

[‘যে রাবণ দাঙ্গা লাগাচ্ছে, সেই রাবণকে বধ করতে হবে!’]

হিট-স্ট্রোক:
এবার আসা যাক হিট স্ট্রোকের কথায়৷ মানব শরীরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির (৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি হলেই সাধারণত সমস্যা শুরু হয়৷ প্রথমে গা-হাত-পা ব্যথা করে৷ একে বলে ‘হিট ক্র্যাম্প’৷ তারপর শুরু হয় বমি, বুক ব্যথা৷ সবশেষে ‘ব্ল্যাক আউট’৷ যাকে চলতি ভাষায় আমরা ‘হিট স্ট্রোক’ বলে থাকি৷ এর থেকে বাঁচতে একটু বুদ্ধি খরচ করতে হবে৷ চড়া রোদ এড়িয়ে চলতে হবে৷ ছাতা ব্যবহার করতে হবে৷ সুতির হালকা পোশাক পরলে ভাল৷ গরমের মধ্যে খুব বেশি পরিশ্রম করা যাবে না৷ শারীরিক কসরতও কমিয়ে ফেলতে হবে৷ অনেকেই গরমের মোকাবিলায় তীব্র রোদ থেকে এসে ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দেয়৷ এটা বিপজ্জনক৷ গরম থেকে হঠাত্‍ ঠান্ডায় যাওয়া, কিংবা ঠান্ডা থেকে গরমে, কোনওটাইও ঠিক নয়৷ অনেকেই আজকাল দেখি, চড়া রোদের মধ্যে ঘামতে ঘামতে কনকনে অ্যাপ ট্যাক্সিতে উঠে পড়ছেন৷ কিংবা চড়া রোদ সামলাতে না পেরে ঠান্ডা এটিএম বুথে ঢুকে পড়ছেন৷ বোঝার সুবিধার জন্য এগুলো বললাম৷ আসলে মাথায় রাখতে হবে, তাপমাত্রার হেরফের খুব বেশি হলেই সমস্যা হবে৷ গলা ব্যথা, সর্দি-জ্বর, কাশি৷ এই সময় অনুষ্ঠান, মেলা হয় চারিদিকে৷ বাচ্চা কিংবা বয়স্কদের এই সব জায়গায় না নিয়ে যাওয়াই ভাল৷ মাথায় রাখতে হবে ‘ক্রাউডেড প্লেস’-এ ‘ভাইরাল লোড’ অত্যন্ত বেশি থাকে৷ যা সামাল দেওয়া বাচ্চা-বুড়ো বা অসুস্থ মানুষের পক্ষে একটু মুশকিল৷ সবশেষে বলব, গরমে ভাল থাকার অন্যতম পাসওয়ার্ড হচ্ছে, বেশি করে বিশুদ্ধ জল পান করুন৷

[ফের রোগীমৃত্যুর জের, দেহ রেখে নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর]

ভাইরাল গ্যাসট্রাইটিস: এই সময় পেটের রোগের প্রকোপ বাড়ে৷ হতে পারে ভাইরাল গ্যাসট্রাইটিস৷
বাঁচার উপায়: তেল-মশলাদার খাবার, বাসি খাবার, কাটা ফল এড়িয়ে চলতে হবে৷ মরশুমি ফল ও সবজি খেতে হবে৷ উৎস না জেনে পানীয় জল খাবেন না৷

সর্দি-কাশি-জ্বর: ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া তো আছেই, এছাড়া অজানা জ্বরের প্রকোপও বাড়ে এই সময়৷ জ্বরের সঙ্গে থাকে কাশি, গলা ব্যথা, গায়ে ব্যথা৷
বাঁচার উপায়: বাড়িতে শ্বাসকষ্টের রোগী না থাকলে মশার ওষুধ জ্বালাতে পারেন৷ ব্যবহার করে যেতে পারে মশা নিরোধক মলম৷ রাতে মশারি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়৷ বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচছন্ন্ রাখতে হবে৷ ফুলদানি, এসি, ফ্রিজের পিছনে যেন জল জমতে না পারে৷

বিশেষ সতর্কতা: জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ নয়৷ ডাক্তার না দেখিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না৷ ‘ক্রাউডেড প্লেস’ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন৷ চড়া রোদ থেকে কনকনে অ্যাপ ট্যাক্সিতে উঠে এসি কমিয়ে দিন কিংবা এসি বন্ধ করে শরীরকে ঠান্ডার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করান৷

যোগাযোগ: ০৩৩ ৭১২২২২২২

[বাল্মীকির সঙ্গে মিকার তুলনা করে শ্রীঘরে রাখি সাওয়ান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement