Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাইট

সাবধান! অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে মারণ পতঙ্গ ‘ট্রম্বিকুলিড মাইট’

জ্বর হলেই গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করুন, পরামর্শ চিকিৎসকদের।

Be aware of 'mite',dangerous insect because it can be within your undergarments
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 25, 2019 11:01 am
  • Updated:November 25, 2019 3:39 pm

গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: কুঁচকি, কোমরের ভাঁজ, বাহুমূল। অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে বিপদ। বিপন্ন করছে জীবন। তাই জ্বর হলেই গোপনাঙ্গ পরীক্ষার নিদান দিলেন চিকিৎসকরা।
স্ক্র‌্যাব টাইফাস। ডেঙ্গুর পাশাপাশি পোকাবাহিত এই রোগ বিভীষিকা হয়ে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গে। সরকারিভাবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা অনেক বেশি। কারণ, ‘অজানা জ্বর’এ যে মৃত্যুর খবর মিলছে, তার সিংহভাগ এই স্ক্র‌্যাব টাইফাসের কামড়েই ঘটছে।

[আরও পড়ুন: অনলাইন শপিংয়ের নেশায় বুঁদ? সমীক্ষা বলছে, আপনি মানসিক রোগী]

পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলতি মরশুমে ১৭০ জন রোগী ভরতি হয়েছেন। ২২জনকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। অন্যান্যবার গ্রামীণ এলাকা থেকেই সিংহভাগ রোগী আসতেন। কিন্তু এবার রোগী আসছেন শহুরে এলাকা থেকেও। উল্টোডাঙা, শোভাবাজার, গড়িয়া, আলিপুর থেকে অনেক রোগীই ভরতি হয়েছেন। সবার মধ্যে কিছু ‘কমন’ উপসর্গ দেখা গিয়েছে। প্রবল জ্বর, গায়ে ব্যথা এবং গোপনাঙ্গে সিগারেটের ফোসকার মতো দাগ। এমনটাই জানালেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নিশান্তদেব ঘটক। নিশান্তদেব একাধিক স্ক্র‌্যাব টাইফাস আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তুলেছেন। তিনিও মেনে নিলেন, শহরের মানুষের এই পোকাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়াটা বেশ দুশ্চিন্তার।
কারণ, স্ক্র‌্যাব টাইফাসের জন্য দায়ী ‘ট্রম্বিকুলিড মাইট’ মূলত ধানখেত ও ঝোপঝাড়ের মধ্যে থাকে। ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল ও গবাদি পশুর শরীরে সাধারণত বাসা বাঁধে। এদের কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু মানুষের শরীরে দংশন করলেই বিপদ। প্রবল জ্বর আসবে। যেখানে দংশন করছে পোকা, সেখানে ফোসকা পড়ে যাবে। দংশনের দশ থেকে চোদ্দো দিনের মাথায় জ্বর দেখা যায়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে রোগী। এমনই পর্যবেক্ষণ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. প্রভাসপ্রসূন গিরির। জানালেন, “আমাদের হাসপাতালে ১৭০ জন ভর্তি হলেও সময়মতো চিকিৎসা পাওয়ায় এখনও কারও মৃত্যু হয়নি।” ইতিমধ্যেই স্ক্র‌্যাব টাইফাসের ছোবলে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। রোগীদের স্রোত দেখে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন ডাক্তারবাবুরা।
তবে সমস্যা অন্যত্র। এই রোগের সঙ্গে সেভাবে গ্রামবাংলার পরিচয় নেই। ডাক্তারবাবুদেরও সম্যক ধারণা নেই। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, অনেকেই স্ক্র্যাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়াটাকে টাইফয়েড ভেবে ভুল করছেন। অনেক সময় ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। রক্তপরীক্ষায় কিছু ধরাও পড়ছে না। ফলে, সমস্যা হচ্ছে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেও লিভার ও প্লীহা বড় হয়ে যায়। তখন রক্ত পরীক্ষা করালে নিশ্চিত হওয়া যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সিগারেটে কালো ফুসফুস, দান করা অঙ্গ ফেরালেন চিকিৎসকরা]

এই পোকার উপর তেমন গবেষণা হয়নি। পতঙ্গবিদরা সবাই মশা নিয়ে ব্যস্ত। দেখা যাচ্ছে, কুঁচকি, বগল ও কোমরের ভাঁজেই এই পোকা বেশি করে কামড়ায়। শরীরের একেবারে গোপন জায়গায় কামড়ায় বলে অনেক সময়ই দেরিতে ধরা পড়ে। জ্বর এলে তাই দ্রুত গোপনাঙ্গ ও তার আশপাশ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। পাশাপাশি জানিয়েছেন, বাড়িতে ইঁদুর থাকলে সাবধান হতে হবে। রাস্তার কুকুর বা বিড়ালের সংস্পর্শেও সাবধানে থাকতে হবে। বাড়িতে বাগান বা ঝোপঝাড় থাকলেও সতর্কতা দরকার।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ