Advertisement
Advertisement

Breaking News

covid

ফুসফুসের কতটা ক্ষতি করছে করোনা? জানতে জেলায় জেলায় চালু নয়া ক্লিনিক

বহু মানুষের ফুসফুসের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে করোনা।

Bengal hospitals get new machine to detect lunge damage post covid | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 15, 2022 6:07 pm
  • Updated:February 15, 2022 6:07 pm

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা (Coronavirus) বহু মানুষের ফুসফুসের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কারও শুরু হয়েছে শ্বাসকষ্ট। সিঁড়ি ভাঙতে হাঁফ ধরছে। কেউ আবার সিওপিডির রোগী হয়ে গিয়েছেন।

এবার ফুসফুসের ক্ষতি মাপতে জেলাস্তরের হাসপাতালগুলিতেও স্পাইরোমেট্রি (Spirometry) ক্লিনিক চালু হল। ৫ জানুয়ারি ইতিমধ্যেই মনোনীত চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শেখানো হয়েছে কীভাবে ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাপ করা হবে। ২০ জানুয়ারি থেকে বেহালার বিদ‌্যাসাগর হাসপাতালে শুরু হয়েছে স্পাইরোমেট্রি পরীক্ষা। দু’জন চিকিৎসক পালা করে পরীক্ষা করছেন। আউটডোর তো বটেই, ইন্ডোরের রোগীরাও ফুসফুসের হাল জানতে এই পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন। এখানকার চিকিৎসক শেখ আবদুল্লা জানিয়েছেন, ‘‘কাশি থাকলে রোগীর স্পুটাম টেস্ট করানো হচ্ছে। নেগেটিভ এলে আরটিপিসিআর (RT-PCR) বা অ‌্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে স্পাইরোমেট্রি পরীক্ষায় বসানো হচ্ছে।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, স্পাইরোমেট্রির রিপোর্ট দেখে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ব্রঙ্কোস্কোপি করানোর দরকার হচ্ছে। তখন রোগীকে কলকাতা ন‌্যাশনাল মেডিক‌্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে। শিশুদের জন‌্যও স্পাইরোমেট্রি টেস্টের ব‌্যবস্থা রয়েছে। দায়িত্বে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রতীপ পাল। শিশুদের মধ্যেই হাঁপানি বা অন‌্য কোনও ফুসফুসের রোগ রয়েছে কি না, তা বোঝার জন‌্যই এই ব‌্যবস্থা। জানা গিয়েছে, রবিবার বাদ দিয়ে রোজই এই স্পাইরোমেট্রি টেস্ট হচ্ছে বিদ্যাসাগরে। গড়ে আট থেকে দশজন রোগী। সব মিলিয়ে বেশ ভাল সাড়া মিলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আর হয়তো ডাকবে না’, ৫ ঘণ্টা সিবিআই দপ্তরে জেরার শেষে মন্তব্য দেবের]

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা হাসপাতাল এম আর বাঙ্গুর কোভিড চিকিৎসার জন‌্য নির্ধারিত হওয়ায় বিদ‌্যাসাগর হাসপাতালে এই স্পাইরোমেট্রি ক্লিনিকের ব‌্যবস্থা হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতেও জোরকদমে চলছে ফুসফুসের পরীক্ষা। আসলে প্রথম দিকে কোভিড ফুসফুসের উপর সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলছিল। ফাইব্রোসিস (Fibresis) তৈরি করছিল। বহু মানুষ কোভিডের (COVID-19) ছোবলে স্থায়ী সিওপিডি রোগীতে পরিণত হয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চার পুরনিগমের ভোটে সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, ফের হাই কোর্টে মামলা বিজেপির]

বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞরা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, বহু ক্ষেত্রেই রোগীরা ফুসফুসের ক্ষতির বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। স্পাইরোমেট্রি পরীক্ষা হলে ক্ষতির মূল‌্যায়ন হবে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ