সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার থাবায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। নিস্তারের একমাত্র আশা প্রতিষেধক, আর তার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছেন গোটা পৃথিবীর মানুষ। ২০২১ সালের মধ্যে ভারত-সহ সব উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে দিতে হবে করোনার প্রতিষেধক। সেই লক্ষ্য পুরণে ১০ কোটি করোনার টিকা তৈরির জন্য বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস এবং গাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (GAVI) ১৫ কোটি ডলার তুলে দিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার হাতে।
সেরামের তরফ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স- এই দুই প্রতিষেধকের প্রত্যেক ডোজের দাম পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২৫ টাকা। ৯২টি দেশে পৌঁছবে এই প্রতিষেধক। গাভিকে (GAVI) আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে গেটস ফাউন্ডেশন। সেই অর্থ দিয়ে সেরামকে সাহায্য করছে গাভি। বিশ্বের সমস্ত দরিদ্র দেশে যাতে টিকা পৌঁছে দেওয়া যায় সেদিকে নজর রাখবে গাভি। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যেই প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি প্রতিষেধক তৈরি করে সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রতি বছর গড়ে ১৩০ কোটি টিকার ডোজ তৈরি করে সেরাম।
[আরও পড়ুন: প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন করোনাজয়ীই আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে! উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা]
উল্লেখ্য, সেরাম ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিন তৈরির চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) আগেই জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে নভেম্বরেই ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ বাজারে চলে আসবে। আদর পুনাওয়ালার ঘোষণা, তাঁর সংস্থা যে ভ্যাকসিন তৈরি করবে তার ৫০ শতাংশ ভারতীয় বাজারের জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৫০ শতাংশ বাকি বিশ্বের জন্য।
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- ২০২১ সালের মধ্যে ভারত-সহ সব উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে দিতে হবে করোনার প্রতিষেধক।
- সেই লক্ষ্য পুরণে ১০ কোটি করোনার টিকা তৈরির জন্য বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস এবং গাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (GAVI) ১৫ কোটি ডলার তুলে দিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার হাতে।
- অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স- এই দুই প্রতিষেধকের প্রত্যেক ডোজের দাম পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২৫ টাকা।