Advertisement
Advertisement

Breaking News

baby

হার্টের সমস্যায় ভুগছে ৪ বছরের সায়ন্তিকা, খুদের চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্য করুন আপনিও

জেনে নিন কীভাবে অনুদান করতে পারবেন।

Donation campaign for this little girl Sayantika as she has cardiac problem | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 23, 2020 3:06 pm
  • Updated:January 1, 2021 6:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভীষণ শ্বাসকষ্ট হয় বলে রাতে ঘুমোতে পারে না আমার মেয়েটা। আর পাঁচটা বাচ্চার মতো স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। খুব কাঁদে আর হাঁপিয়ে ওঠে। মা হয়েও কোনওভাবেই ওর কান্না থামাতে পারি না আমি। নিজের সন্তান এতখানি কষ্ট পাচ্ছে জেনেও আমি অপারগ। ওর জীবনটা বাঁচাতে পারব না মনে হয়।” কথাগুলো বলতে বলতে অঝোরে কাঁদেন কনিকা। যাঁর বছর চারের কন্যাসন্তান সায়ন্তিকা হার্টের সমস্যায় ভুগছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

অনুদানের বিষয়ে বিষদ জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: https://bit.ly/3hbdxSx

Advertisement

সায়ন্তিকার জন্মের পর কনিকা ও সন্দীপের আনন্দের অন্ত ছিল না। সংসার আলো করে যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মী এসেছিল। চনমনে-দুরন্ত একরত্তি মেয়েকে নিয়ে ভালই সময় কাটছিল। ওর ঠোঁটের কোণের মিষ্টি হাসি আর অফুরন্ত দুষ্টুমিই কনিকা আর সন্দীপকে বাঁচার রসদ জোগাতো। কোনও মনখারাপের সন্ধেয় অক্সিজেনের মতো কাজ করত সায়ন্তিকার মুখ থেকে ‘মা’, ‘বাবা’ ডাকটাই। কিন্তু আচমকা খলনায়কের মতো একটা মারণ রোগের আবির্ভাবে তছনছ হয়ে যায় খুদের জীবনটা। এক নিমেষে ফ্যাকাসে হয়ে যায় মেয়েকে নিয়ে কনিকা-সন্দীপের ছোট্ট সাজানো সংসার। হার্টের সমস্যায় (cardiac problem) ভুগছে সায়ন্তিকা। আর তার থেকেই শ্বাসকষ্ট। শুধু তাই নয়, এই রোগের জন্য শিশুটির দেহের বিভিন্ন অংশে কালো দাগ সৃষ্টি হয়েছে। মাড়ি দিয়ে রক্তও ঝড়ে।

Advertisement

সায়ন্তিকার শ্বাসক্রিয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে ইতিমধ্যেই পেসমেকার বসিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তা এবার বদলাতে হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। খুদের হার্টকে স্বাভাবিক রাখতে হলে এখন প্রয়োজন HIS বান্ডল পেসিং-যুক্ত DDDR পেসমেকারের। অন্তত যতদিন না ও বড় হয়ে শারীরিকভাবে তা প্রতিস্থাপনে সক্ষম হচ্ছে, ততদিন এটিই ওর হৃৎপিণ্ডের গতিবিধি আগলে রাখবে। এমকী ডাক্তাররাও এও জানিয়েছেন, সায়ন্তিকার বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে অন্তত ছ’মাস চিকিৎসাধীন থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হল এই চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণ খরচ। যা পেশায় শ্রমিক সন্দীপের পক্ষে জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়ছে।

মেয়ের যন্ত্রণা দেখে প্রতিমুহূর্তে ডুকরে কেঁদে ওঠে সন্দীপের মন। “আমার মেয়েটা ভীষণ চনমনে আর এনার্জেটিক ছিল। সবার সঙ্গে খেলতে ভালবাসত। এক মুহূর্তও শান্ত হয়ে বসতে চাইত না। আর এখন দিনের পর দিন বিছানায় শুয়ে রয়েছে। কখনও যন্ত্রণায় ছটফট করছে তো কখনও চেঁচিয়ে কাঁদছে। বাবা হয়ে মেয়ের এই কষ্ট আর যেন সহ্য হয় না। সেই পুরনো চঞ্চল সায়ন্তিকাকে ভীষণ মিস করি। জানি না, কেন ওর ভাগ্যে এমনটা হল।”

হিসেব বলছে, খুদের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যেখানে সংসার চালাতেই রোজ লড়াই করতে হয় সন্দীপকে, সেখানে এই পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে জোগাড় করবে, তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না তিনি। তাঁদের এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে আবেদন, আপনারা এগিয়ে আসুন। নিজেদের সাধ্যমতো ছোট্ট সায়ন্তিকার প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান করে সায়ন্তিকাকে নতুন জীবন উপহার দিতে আপনিও পাশে থাকুন। সকলের প্রয়াসে একটি ছোট্ট প্রাণ রক্ষা পেলে, এর চেয়ে বেশি শান্তির আর কী-ই বা হবে।

অনুদানের বিষয়ে বিষদ জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: https://bit.ly/38nehjw

সায়ন্তিকার অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে একটি মেডিক্যাল দল। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও রয়েছে। অনুদানের আগে আপনিও চাইলে তা যাচাই করে দেখতে পারেন। কিংবা মেডিক্যাল টিমের আয়োজকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

চ্যারিটি নম্বর: 81687651
বিঃ দ্রঃ- এই অনুদান 80G, 501(c) ইত্যাদি কর ছাড়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ