সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জটিল মাথাব্যথার পিছনে রয়েছে মাংসপেশীর অস্বাভাবিকতা। যেটিকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হচ্ছে ফাইব্রোমায়ালজিয়া। মেরুদণ্ড, কবজি, কনুই, ঘাড়-সহ শরীরে যে কোনও অংশ ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। এক অর্থে ফাইব্রোমায়ালজিয়াকে টিউমারের একটি রূপও বলা যেতে পারে। শরীরের যে অংশে টিস্যু জমে ফাইব্রোমায়ালজিয়া হয় সেই জায়গাটুকু চিহ্নিত করে অস্ত্রোপচার করলে রোগমুক্তি ঘটতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে ফের ওই একই জায়গায় বাসা বেঁধেছে ফাইব্রোমায়ালজিয়া। আমরা যত গতির জীবনে নিজেদেরকে সইয়ে নিচ্ছি তত বেশি আমাদেরকে সইয়ে নিচ্ছে রোগব্যাধি। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তীব্র মাথা যন্ত্রণা, অবসাদ, নিদ্রাহীনতা, ভুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ আমাদের গ্রাস করছে। বলাই বাহুল্য, ফাইব্রোমায়ালজিয়ার হাত ধরেই এরা একে একে বাসা বাঁধছে মানবশরীরে।
ফাইব্রোমায়ালজিয়ার সূত্রেই সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে মাথা। কোনও ধরনের মানসিক অবসাদও যন্ত্রণার মতো জানান দেয়।ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ছোটোখাটো শব্দও সহ্য করতে পারেন না। গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান ও পোহাং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তরফে যৌথ গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি জটিল মাথা যন্ত্রণায় ভোগেন। সামান্য শব্দ কানে গেলেই শুরু হয়ে যায় যন্ত্রণা। জটিল মাথা যন্ত্রণা রোগীকে আরও বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।স্বাভাবিকভাবেই রোগী সবসময় তটস্থ হয়ে থাকে। ঘুম কমে যায়। ধীরে ধীরে অবসাদ ঘিরে ধরে।রোগ নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করতে গিয়ে প্রাত্যহিক জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আচমকাই রোগীর স্মৃতি থেকে উধাও হয়ে যায়। ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্ত ১০জন মহিলার উপরে গবেষণা চালিয়েই এই তথ্যগুলি হাতে এসেছে।
ওই মহিলাদের প্রত্যেকের মস্তিষ্কই সুস্থ মানুষের মস্তিষ্কের থেকে অনেকবেশি সংবেদনশীল।এই সংবেদনশীলতাই মাথা ব্যথাকে বাড়িয়ে দিয়ে জটিল রোগে পরিণত হয়েছে। তাই এই ধরনের লক্ষণ যদি পরিবারের কারোর মধ্যে থাকে তাহলে সতর্ক হোন। শিগগির চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.