হাতের ব্যথায় ভুগছেন? আঙুল নাড়াতে গেলে লাগছে? ‘স্টিফনেস’ অনুভব করছেন? ডান হোক বা বাম, স্বাভাবিকভাবে হাতটাকে ‘বেন্ড’ করতে না পারলে বা হাতের আঙুলগুলোকে প্রসারিত করতে গিয়ে অপারগ হলে বুঝবেন, সাহায্য প্রয়োজন। প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। সেই পরামর্শই আপনাদের জন্য লিখলেন কোয়েল মুখোপাধ্যায়।
হাতে কারণে-অকারণে ব্যথা। দৈনন্দিন জীবনে এ এক অতি সাধারণ জিনিস। তাই গুরুত্ব না দিয়ে অনেকেই হাতের ব্যথায় কষ্ট পান। যেমন ধরুন কোনও কাচের বোয়ামের ঢাকনা খুলতে হবে। কিন্তু হাতে যথাসম্ভব বল প্রয়োগ করেও দেখছেন, কিছুতেই ঢাকনাটা খুলতে পারছেন না। এই ধরনের সমস্যায় জর্জরিত যাঁরা, তাঁদের জন্য সুখবর। এর সুরাহা সম্ভব। না, কোনও ট্যাবলেট-সিরাপ নয়। হাতের ব্যথা নিরাময় এবং হাতকে সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে নির্দিষ্ট কিছু এক্সারসাইজ। সহজ এই সব ব্যায়াম আপনি করতে পারেন বাড়িতে বসেই। অনায়াসে।
[শরীরকে দূষণের প্রভাব থেকে দূরে রাখতে তালিকায় রাখুন এই পাঁচ খাবার]
রিস্ট এক্সটেনশন অ্যান্ড ফ্লেক্সন- প্রথমে টেবিলের কিনারায় একটি তোয়ালে ‘ফোল্ড’ করে রাখুন। তার উপর হাত উপুড় করে রাখুন, এমনভাবে যাতে হাতের তালু থেকে আঙুল-সহ বাকি অংশ বাইরে ঝুলতে থাকে। আর তালুর নিচ থেকে হাতের বাকি অংশ থাকে তোয়ালের উপর। এবার আঙুল-সহ তালুটি আস্তে আস্তে উপরের দিকে তুলুন। ফের আগের পজিশনে ফিরে আসুন। ‘রিপিট’ করুন এই ব্যায়ামটি। সব শেষে একই ব্যায়াম করুন কিন্তু বিপরীত দিকে। অর্থাৎ এবার হাত উপুড় করে নয়, বরং তালুটি থাকবে উপরের দিকে।
রিস্ট সাপিনেশন/প্রোনেশন- উঠে দাঁড়িয়ে বা বসে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। এক্ষেত্রে দুই হাত থাকবে দেহের দুই পাশে। কনুই ভাঁজ করুন। ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল বরাবর রাখুন। হাতের তালু থাকবে নিচের দিকে। বাকি হাত স্থির রেখে শুধুমাত্র আঙুলগুলোকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। যতটা সম্ভব।
রিস্ট আলনার/ রেডিয়াল ডেভিয়েশন- প্রথম ব্যায়াম অর্থাৎ রিস্ট এক্সটেনশন অ্যান্ড ফ্লেক্সনের কায়দায় হাত রাখুন। ফারাক শুধু একটা, যে এবার হাত উপুড় করে নয়। হাতের সাইডটিকে রাখুন ‘ফোল্ড’ করা তোয়ালের উপর। ‘সাপোর্ট’ পেতে। বুড়ো আঙুলটি থাকবে উপরের দিকে। এবার কবজির উপর বল প্রয়োগ করে তাকে উপরে তুলুন এবং নিচে নামান। ধীরে ধীরে গতি বাড়ান।
[যৌনতায় মেতে ওঠার আগে এই কাজগুলি করেন কি?]
থাম্ব ফ্লেক্সন/এক্সটেনশন- হাতের আঙুলগুলোকে মেলে ধরুন। প্রতিটি আঙুল যেন পরস্পরের থেকে আলাদা থাকে। বুড়ো আঙুলটি বাইরের দিকে রাখুন। এবার ওই বুড়ো আঙুলটিকেই একবার হাতের উপর নিয়ে আসুন। আর একবার বাইরের দিকে অর্থাৎ আগের পজিশনে নিয়ে যান।
হ্যান্ড/ ফিঙ্গার টেন্ডন গ্লাইড- দু’টি হাতের আঙুলগুলি মেলে ধরুন। বুড়ো আঙুলটি থাকবে আপনার মুখের দিকে। সব আঙুল অল্প গুটিয়ে তালুতে রাখুন। হাত মুঠো করুন। সব আঙুল যেন তালুর ভিতরে ঢুকে যায়। হাত সোজা করুন। প্রথম পজিশনে ফিরে যান।
তবে হ্যাঁ, ব্যথায় কাতর যাঁরা, তাঁদের এই সব ব্যায়াম করতে হবে যথেষ্টই ধীরে ধীরে। যাতে আঘাত না লেগে যায়। যদি এগুলি করতে গিয়ে অস্বস্তি অনুভব করেন, ব্যথা পান, তাহলে অতি অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আরও একটা কথা। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী হাতের যে যে ব্যায়ামগুলি এখানে জানানো হল, সেগুলি করার সময় প্রত্যেকটি পজিশনেই অন্তত পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। এক-এক বারে এক-একটি ব্যায়াম ‘রিপিট’ করবেন দশ বার করে। আর দিনে তিন বার ব্যায়ামগুলি করতে হবে।
[মদ্যপ অবস্থায় যৌন মিলনের ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে জানেন?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.