সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙল। অমনি তড়াক করে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামা। হাজারও একটা কাজের চিন্তা। চা বা কফিতে চুমুক দিতে দিতে মেল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট চেক করা। তারপর পড়িমড়ি দৌড়। আজকের ব্যস্ত দুনিয়ায় অনেকেরই এটাই রুটিন। আর তাই দিনশেষে সঙ্গী একরাশ ক্লান্তি, হতাশা। পরেরদিন ফের একই রুটিন। ফলে অবধারিত বোরডম। কিন্তু এ ক্লান্তি, বিরক্তি কাটবে কী করে? কথায় বলে ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। তাই দিন বদলে ফেলতে সকালটাকেই বদলে ফেলুন। অভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন এলেই দেখবেন গোটা দিন ঝরঝরে ও তরতাজা থাকছেন।
অন্তত ১০ মিনিট ফোন থেকে দূরে থাকুন
আজকাল অ্যালার্ম বাজে ফোনেই। সকালে সেই শব্দে ঘুম ভাঙে। অ্যালার্ম বন্ধ করতে হাতে উঠে আসে মোবাইল। সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে নেট অন করে ফেলেন। মেল বা ফেসবুক চেক করেন। বা দেখে নেন কোনও মেসেজ এসেছে কিনা। অবশ্যই তা করবেন। এবং করাটা জরুরিও। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত ১০ মিনিট মোবাইল ব্যবহার করবেন না। দিনভর স্ক্রিন টাইমের কোনও ইয়ত্তা থাকে না। সকালের এই দশটা মিনিট নিজের জন্য রাখুন।
[ চুম্বনেই চিনে নিন তাঁর ভালবাসার গভীরতা… ]
চা-কফির বদলে লেবু জল
সকালে উঠে এক কাপ চা না হলে চলে না। অনেকের আবার বেড-টির অভ্যাস আছে। তা চা-কফি পরিমিত পরিমাণে মন্দ নয়। কিন্তু একদম দিনের শুরুটা করুন লেবুজল দিয়ে। কুসুম কুসুম গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা চুমুক দিন। মেটাবলিজম শুরু করা থেকে, ফ্যাট বার্ন করা-এরকম বহু কাজই করে দেয় এই লেবু জল। বাড়তি এনার্জিও দেয়। এর কিছুক্ষণ পর হাত মুখ ধুয়ে নিয়মিত অভ্যাসে চা-কফি খান বা ব্রেকফাস্ট করুন। হ্যাঁ, গোড়ার দিকে অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু একবার চালু করলেন দেখবেন, নিজেরও ভাল লাগছে।
যেমন তেমন ভাবে উঠবেন না
অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে লাফ দিয়ে উঠে পড়বেন। এই অভ্যাস ছাড়ুন। এতে ব্যথা লাগার সম্ভাবনা বেশি। এখনকার স্ট্রেসফুল জীবনে এমনিই চোট আঘাত ব্যথার বাড়বাড়ন্ত। তার উপর এই অভ্যাসের জেরে আর বাড়তি ঝামেলা বয়ে আনবেন না। ঠিকঠাক পাশ ফিরে, তারপর ধীরেসুস্থে উঠুন। সামান্য তাড়াহুড়োর কারণে দিনভরের বিপদ ডেকে আনবেন না।
[ পুনর্ব্যবহারযোগ্য কন্ডোম বিকোচ্ছে অনলাইনে, জানেন এর বৈশিষ্ট্য? ]
ধ্যান বা মনঃসংযোগ করুন
ব্যস্ত জীবনে মনঃসংযোগ করা একান্ত জরুরি। কিন্তু সারাদিন তার সময় কোথায়! দিনের শুরুতে অন্তত কিছুটা সময় এ কাজটা করুন। দেখুন সারাদিন যে কাজই আসুক না কেন, গভীর অভিনিবেশের সঙ্গে করতে পারছেন। মাত্র মিনিটখানেকের এ অভ্যাস আপনার দিনটাকেই বদলে দিতে পারে।
দিনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলুন
সারাদিন অন্যের প্রয়োজনে আপনাকে দৌড়ে মরতে হয়। সকালে খানিকটা সময় তাই নিজের জন্য রাখুন। দিনে কী কী কাজ করতে হবে তা এই সময়টায় ঠিক করে নিন। কোনটা আপনার প্রায়োরিটি, কোনটা নয়, সেটাও ভেবে রাখুন। সারাদিনের গোলটা সেট করে নিলে, গোটা দিনটা পরিচালনা করতে আপনারই সুবিধা হবে।
হালকা ব্যায়াম করুন
কাজের চাপে জিমে যাওয়া হয় না। ব্যায়ামেরও বালাই নেই। এদিকে কাজের চাপ তো আছেই। ফলে শরীরে হাজারও ব্যাধির বাসা। যোগের যে কোনও বিকল্প নেই তা সকলেই জানেন। কিন্তু করার সময় কোথায়? সকালের এই সময়টা হালকা ব্যায়াম করুন। জাস্ট হাত-পা টানটান করা। বা ফ্রি-হ্যান্ড গোত্রের ব্যায়াম। দেখবেন, অনেক অসুখ এমনিই পালাবে। লাইফস্টাইলের কারণে যে রোগ এসে ঘাড়ে চেপে বসে, তা পালাবে।
[ শীতেও রতিসুখের এ উপায় চরম উষ্ণতা ছড়িয়ে দেয় ]
হয়তো ভাবছেন এত কাজ করতে অনেকটা সময় চলে যাবে। এই ইঁদুরদৌড়ের দিনকালে এত সময় কি ব্যায় করা সম্ভব? আসলে এই প্রক্রিয়া খুব বেশি সময়ের নয়। মিনিট দশ কি পনেরো সময় দিলেই এই কাজগুলো করতে পারবেন। দরকার শুধু মানসিকতা বদল। আর নিত্যদিনের রুটিনে একটু পরিবর্তন। তাহলেই গোটা দিনটা আপনি নিজেই ঝরঝরে থাকবেন।