Advertisement
Advertisement
Holi 2024

বেশি উজ্জ্বল রং মানেই কি ত্বকের ক্ষতি? হোলির আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো

উৎসবের মাঝেও সচেতন থাকতে হবে স্বাস্থ্য নিয়ে। বিশেষ যত্ন নিতে হবে ত্বকের।

Things to know before buy colours for Holi 2024

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:March 13, 2024 6:13 pm
  • Updated:March 22, 2024 4:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৫ মার্চ দোল। রঙের উৎসবে মেতে উঠতে প্রস্তুত ছোট থেকে বড় সকলেই। আর কয়েকদিন পর থেকেই বাজারে বাজারে দেখা যাবে নানা রঙের আবিরের বাহার। কিন্তু উৎসবের মাঝেও সচেতন থাকতে হবে স্বাস্থ্য নিয়ে। বিশেষ যত্ন নিতে হবে ত্বকের। আসলে এই রঙে বা আবিরে এখন কেমিক্যালই বেশি থাকে। যা ক্ষতি করতে পারে আপনার ত্বকের। পুরো মাটি করে দিতে পারে রং খেলার আনন্দকে। তাই মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়।

কেনার আগে বুঝতে হবে

Advertisement

রাসায়নিক বা কৃত্রিম রং এবং জৈব বা প্রাকৃতিক রঙের পার্থক্য বোঝা খুব একটা শক্ত ব্যাপার না।
চকচকে এবং খুব গাঢ় বা উজ্জ্বল রং কখনওই প্রাকৃতিক রং নয়।  যে রঙে চকচকে গুঁড়ো মেশানো থাকে ও একটু খরখরে প্রকৃতির সেটাও প্রাকৃতিক রং নয়। হাত দিলে যে রং খুব মোলায়েম, অনেকটা পাউডারের মতো মোলায়েম সেটা প্রাকৃতিক রং বুঝতে হবে।

Advertisement

বেশি উজ্জ্বল রং মানেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মারাত্মক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক যেমন-

গাঢ় সবুজ- এতে কপার সালফেট থাকে, এবং এটা চোখে লাগলে অ্যালার্জি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাময়িকভাবে মানুষ কিছু দেখতে পায় না (টেম্পোরারি ব্লাইন্ডনেস)।

গাঢ় বেগুনি- এই রং ক্রোমিয়াম আয়োডাইড থেকে তৈরি হয় যার থেকে হাঁপানি বা অন্যান্য অ্যালার্জি হতে পারে।

রূপোলি রং- অ্যালুমিনিয়াম ব্রোমাইড দিয়ে এই রং তৈরি হয়, যেটা ক্যানসার পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

কালো রং- এতে লেড অক্সাইড থাকে। কোনও কারণে মুখে চলে গেলে যা কিডনির সমস্যা ডেকে আনে এবং মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে।

গাঢ় নীল- এই রঙে প্রুশিয়ান ব্লু থাকে, যা থেকে চর্মরোগ হতে পারে।

গাঢ় লাল- মার্কারি সালফেট দিয়ে তৈরি এই রং থেকে ত্বকের সমস্যার পাশাপশি ত্বকের ক্যানসার ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়া এই রাসায়নিক থেকে হতে পারে মিনামাটা ডিজিস (এই ক্ষেত্রে মানসিক রোগ, প্যারালাইসিস, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়)।

চকচকে রং- অনেক রঙে চকচকে কিছু জিনিস মেশানো থাকে। রঙের ঔজ্জ্বল্য দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। এই চকচকে বস্তু আসলে কাচের পাউডার। তাই বোঝাই যাচ্ছে এই রং ত্বক বা চোখে লাগলে কতটা ভয়াবহ হতে পারে। 

[আরও পড়ুন: ঠান্ডা লাগা নিয়ে বাতিক কিন্তু সুবিধার নয়, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞ]

চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করেই রং খেলতে। রং খেলার আগে মাথায় রাখুন- 

  • চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব গা ঢাকা দেওয়া জামাকাপড় পরার। এতে একটু হলেও ত্বক খারাপ রঙের ক্ষতি থেকে বাঁচবে।
  • সারা গায়ে ভেসলিন, ময়েশ্চারাইজার, নারকেল তেল, কোনও ক্রিম বা লোশন, অলিভ অয়েল মেখে নিন। এই প্রলেপ ত্বককে এই ক্ষতিকারক রসায়নগুলো থেকে বাঁচাবে।
  • সানগ্লাস বা পাওয়ার ছাড়া সাধারণ চশমা পড়ে নিন যাতে চোখে রং না ঢুকতে পারে। কনট্যাক্ট
  • লেন্স পরে রং খেলা একদম নয়।
  • যখন কেউ রং মাখাবে সঙ্গে সঙ্গে মুখটা বন্ধ করে নিন যাতে মুখের ভিতরে কোনও রং না ঢোকে।
    হোলির আগের দিন রাতে চুলে হালকা তেল মাখা থাকলে ভালো। পরের দিন রং মাখার আগে আরেকবার তেল লাগিয়ে নিন, যাতে চুল এবং স্কাল্পে ওই রাসায়নিক পদার্থগুলোর কুপ্রভাব কম পড়ে। পারলে টুপি বা মাথায় ওড়না বেঁধে রং মাখুন। 

রং মাখার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরে ফিরে পরিষ্কার হন। সেক্ষেত্রে-

  • স্নানের জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করুন।
  • রং ওঠাতে বেশি করে সাবান বা শ্যাম্পু মাখলে লাভ হবে না বরং ক্ষতি বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবেই সাবান দিন। ধীরে ধীরে রং চলে যাবে।
  • ঘাড়ের রং তোলার জন্য আগে নারকেল তেল, লেবু বা বেসন দুধ দিয়ে মেখে নিন। গায়ে এবং চুলে আগে মাখুন তারপর সাবান দিয়ে স্নান করুন।
  • চোখ জ্বালা বা চুলকানি যদি কয়েক ঘণ্টার বেশি হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
    ত্বকে যদি কোনওরকম ফুসকুড়ি, জ্বালা বা চুলকানি হতে থাকে তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ