সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তান প্রতিপালন সহজ একেবারেই নয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয় বাবা-মাকে। প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে হয়। দৃষ্টি রাখতে হয় সজাগ। কোন কথা সন্তানের মনে কী প্রভাব ফেলবে? এ প্রশ্নের উত্তর জানা খুবই প্রয়োজন। কীভাবে জানবেন? সব তো জানা সম্ভব নয়। তবে কিছু কথা সাবধানে অবশ্যই বলা যায়। তারই তালিকা থাকল বাবা-মায়েদের জন্য।
[এই জিনিসগুলি ফ্রিজে রাখেন! বিপদ ডেকে আনছেন না তো?]
১) তুমি খুবই খারাপ বাচ্চা- এই কথা অনেক অভিভাবকই সন্তানকে বলে থাকেন। এমনটা বলা কিন্তু একদম উচিত নয়। এতে শিশুমনে খারাপ প্রভাব ফেলে। আপনি শিশুকে যত ভাল বলবেন, সে আরও ভাল হওয়ার চেষ্টা করবে।
২) দাদা কিংবা দিদিকে দেখে শিখতে পারো না?- এই তাচ্ছিল্যটি শিশুর মনে হিংসার ভাব জাগিয়ে তোলে। আবার অনেক সময় এই বাক্যের ফলে শিশুরা হীনমন্যতায় ভোগে।
৩) না- সরাসরি ‘না’ শব্দটি বললে শিশুমন আঘাত পায়। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, কেন না বলা হল তাকে? এই প্রশ্নের উত্তর না পেলে শিশুদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
৪) তোমার দ্বারা হবে না- নিজের সন্তানকে এভাবে নিরুৎসাহিত কখনও করবেন না। আপনার শিশু আপনার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি উৎসাহ চায়। আর তা পেলে নিজের উপর বিশ্বাস করতে শেখে।
৫) আমার সঙ্গে কথা বলবে না- এ কথা আপনার ও শিশুর মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। সে লোকসমাজে কথা বলার আত্মবিশ্বাস হারায়। নিজের বক্তব্য যুক্তি-সহ প্রকাশ করতে পারে না।
৬) ছেলেরা/ মেয়েরা এমনটা করে না- ছোট থেকেই শিক্ষার বীজ শিশুদের মধ্যে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। তখন ছেলে-মেয়ের তফাত করতে শেখানোটা খুবই ভুল। এর পরিণাম ভবিষ্যতে মারাত্মক হতে পারে।
৭) আমার সামনে থেকে চলে যাও- এ কথা আপনার শিশুর মনে খুবই আঘাত দেয়। আপনিই তার জীবনের সবকিছু। এমন কথা আপনার মুখে শুনলে সে একাকীত্বে ভুগতে শুরু করে।
৮) বাবা আসুক, সব বলছি- সন্তানের ভুলে এমন হুমকি মায়েরা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে অজান্তে নিজের সন্তানের মনে তারই বাবার প্রতি ভয়ের সঞ্চার করেন তাঁরা।
শিশুমন সরল কাদামাটির মতো হয়ে থাকে। আপনি তাকে যে রূপ দেবেন, সেভাবেই সে গড়ে উঠবে। তাই সুশিক্ষা দেওয়া যেমন আপনার দায়িত্ব, নিজের বাক্যের উপর সংযম রাখাও আপনার কর্তব্য। তাই আগে ভাবুন তারপর কথা বলুন নিজের খুদের সঙ্গে।
[তথ্য চুরির শঙ্কায় ভুগছেন! জানেন ফেসবুক ও গুগল আপনার সম্পর্কে কী কী জানে?]