সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরিয়ানি। নামটা শুনলেই জিভে জল ও পেটের খিদে দ্বিগুণ হয়ে যায় খাদ্য রসিকদের। উৎফুল্ল হয়ে পড়েন কচিকাঁচারাও। আর তা যদি হায়দরাবাদি বিরিয়ানি হয় তা হলে তো কথাই নেই। একদা অন্ধ্রপ্রদেশ অধুনা তেলেঙ্গানার রাজধানী নিজামদের স্মৃতি মাখা এই শহরের অন্যতম আকর্ষণই হল এখানকার বিরিয়ানি।
সব থেকে মশলাদার বিরিয়ানি হিসেবে চিহ্নিত এই বিরিয়ানির স্বাদ একবার যারা পেয়েছেন তাঁরা কোনদিনই এর স্বাদ ভুলতে পারবেন বলেই দাবি খাদ্য রসিকদের। আর যাঁরা প্যারাডাইসের বিরিয়ানি একবার খেয়েছেন তাঁরা ভালই জানবেন এর স্বাদ কেমন হয়। নিজামদের শহরের সেই বিখ্যাত বিরিয়ানিই এবার জায়গা করে নিল লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবথেকে বেশি ৭০ লাখ ৪৪ হাজার ২৮৯ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি করে ২০১৯ সালে প্রকাশিত হওয়া রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিল প্যারাডাইস ফুড কোর্ট। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া ফুড কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে ছিনিয়ে নিল সবথেকে বেশি বিরিয়ানি বিক্রেতার শিরোপা। পাশাপাশি সারাজীবন ধরে খাদ্য, রেস্তরাঁ ও পরিবেষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্যারাডাইস ফুড কোর্টের চেয়ারম্যান আলি হেমতিকে দেওয়া হল লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড।
সেকেন্দ্রাবাদ শহরের প্যারাডাইস সিনেমা হল সংলগ্ন একটি ছোট ক্যান্টিন থেকে চা ও স্ন্যাকস নিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। আস্তে আস্তে এখানকার খাবার এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে ৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে ১০০ সিটের ক্যান্টিনের জায়গায় তৈরি করা হয় একটা ছোট রেস্তরাঁ। যেখানে বিরিয়ানির সঙ্গে সঙ্গে হায়দরাবাদের বিভিন্ন ধরনের খাবারও পাওয়া যেত। ১৯৭৮ সালে আলি হেমতি সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ার পরই অবশ্য ছবিটা অনেক বদলে যায়। কর্মপদ্ধতির পাশাপাশি সাজসজ্জা ও খাবারের ধরনে অনেক বদল আনেন তিনি। বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব বড় শহরেই মোট ৩০টি শাখা খুলে ফেলেছে এই সংস্থা। খুব তাড়াতাড়ি দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে প্যারাডাইস ফুড কোর্টের শাখা খোলা হবে বলে ইঙ্গিত দেন সংস্থার বর্তমান সিইও গৌতম গুপ্তা।