সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন যত যাচ্ছে কর্পোরেট লাইফে আমরা নিজেদেরকে ততই খাপ খাইযে নিচ্ছি। রান্না করতে ইচ্ছে না করলে রেডি টু ইট খাবার। যদিও বা রান্না করি হাতের কাছেই রাইসকুকার, রোটিমেকার। অফিসের গাড়ি ড্রপ দিল না, চলুন ওলায় চড়ে বসি। কাজের চাপে মাথা জ্যাম হয়ে গিয়েছে।এই আর্থিক বছরে বেতন বাড়ল না। তবে খরচ বেড়েছে। স্ট্রেস কাটাতে পকেটে রয়েছে সাধের স্মার্টফোন। হাত বাড়ালেই সোশ্যাল সাইট। কিছুক্ষণের জন্য চিন্তামুক্তির রসদ। রাতে বিছানায় যেতেই আবার চিন্তা। এমন একজন কর্পোরেটপার্সনকে খুঁজে বের করুন যিনি নিশ্চিন্ত ঘুমে রাত কাটাচ্ছেন। দৈনন্দিন জীবনের এই স্ট্রেস কাটাতে মিছিমিছি ডাক্তারকে পয়সা দেওয়ার দরকার নেই। নিয়ম মেনে স্টিমবাথ নিন। খুব তাড়াতাড়ি দেখবেন উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে এসেছে। কর্পোরেট কালচারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া হাসিটাও ঠোঁটে লেগে নেই। মাঝেমাঝেই চওড়া হাসি খেলে যাচ্ছে একদা চিন্তিত মুখ জুড়ে। গোছাগোছা ওযুধ, একগাদা টেস্ট, ডায়েট চার্টের বোঝা কমিয়ে একলাফেই কেমন যেন হালকা হয়ে গিয়েছেন। এর পিছনে একটাই কারণ নেমেছে রক্তচাপ। শান্তিতে চোখবুজে একটা আধঘণ্টার স্টিম বাথ নিয়ে নিন। পুনরায় গতির জীবনে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবেন।
[এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সরষের তেল থেকে দূরে থাকুন]
৩০ মিনিটের স্টিম বাথেই চড়চড় করে নামবে রক্তচাপ। গবেষণা এমনটাই দেখা গিয়েছে। কারও রক্তচাপ ১৩৭ হলে একবার স্টিম বাথ নিলেই হেরফের ধরা পড়বে। দেখা যাবে রক্তচাপ নেমে গিয়েছে ১৩০-এ। কারওর স্টিম বাথ নেওয়ার আগে রক্তচাপের মাত্রা ৮২ থাকলে বাথের পর আর একবার পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে ৭৫-এ নেমেছে রক্তচাপ। একইভাবে অসুস্থতার মাত্রাও নেমেছে পাল্লা দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির টেনশন, বসের তাড়ার মতো উপসর্গ আপনার হৃদযন্ত্রের দ্রুতগামীতাকে আর প্রভাবিত করতে পারবে না। রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে পারলে কমে যাবে হৃদরোগের সম্ভাবনা। শরীরে রক্ত চলাচল সম্পর্কিত সমস্যাগুলো একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণে আসবে। একটা সময় নিজেই আবিষ্কার করবেন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাকে কীভাবে দূরে ফেলে এসেছেন। এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠুন। রোগজর্জর অবয়ব ছেড়ে নিশ্চিন্তে জীবনে নিজেকে সইয়ে ফেলুন। তবে মাঝে মাঝে স্টিম বাথ নিতে ভুলবেন না। সেই আপনার জীবনীশক্তিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
হৃদরোগ দূর করতে ১০০ জনের উপরে একটি পরীক্ষা চালায় ইউরোপের একটি জার্নাল। সেই পরীক্ষায় ১০০ জনকেই স্টিম বাথ করানো হয় ৩০ মিনিট ধরে। শুধু এটাই দেখার জন্য যে স্টিম বাথ নেওয়ার পর তাঁদের কি কি শারীরিক পরিবর্তন এসেছে। দেখা গিয়েছে, ৩০ মিনিটের ব্যবধানে কমেছে রক্তচাপ জনিত শারীরিক জটিলতা। শুধু রক্তচাপ জনিত সমস্যাই নয়, স্টিম বাথে কমবে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও। তবে আর দেরি কেন, এখনই বাড়িতে স্টিম বাথের তোড়জোড় শুরু করুন। খাটনি এড়াতে চাইলে চলে যাতে পারেন নামী স্পা সেন্টার বা পাঁচতারা হোটেলেও। স্বাচ্ছন্দ্য যেখানে সহজেই মুঠোবন্দি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.