সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গিহানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন চল্লিশেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান। সে ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল। গোটা দেশে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল। তারপরের একের পর এক ঘটনার কথা তো সবার জানা। ভারতীয় বায়ুসেনার এয়াস্ট্রাইক থেকে অভিনন্দন বর্তমানের আটক হওয়া ও প্রত্যাবর্তন। সবমিলিয়ে দুই দেশের সীমান্তে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। আর এমন আবহে ভারতের যুবপ্রজন্মের মধ্যে ওয়ার গেম খেলার আগ্রহ বেড়েছে অনেকখানি।
[এবার বাজ পড়ার অগ্রিম বার্তা দেবে দামিনী অ্যাপ]
গত কয়েকদিনে গুগল প্লে-স্টোর থেকে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন গেম ডাউনলোডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছে। তবে সবচেয়ে সাড়া পড়েছে কলকাতায়। মূলত পাঁচটি গেম ডাউনলোডের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। এলওসি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, স্পেশ্যাল ফোর্সেস ইন্ডিয়ান আর্মি, এয়ারস্ট্রাইক ফাইটার থ্রি ডি, ইন্ডিয়া পাক লাইভ ট্যাঙ্ক ওয়ার এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকর কাউন্টার অ্যাটাক। গেমের নামগুলি থেকেই স্পষ্ট পড়শি দেশের বিরুদ্ধে কীভাবে ক্ষোভে ফুটছে দেশবাসী। সীমান্তে গিয়ে যারা লড়তে অপারগ, তারা মোবাইল স্ক্রিনের বন্দুক টাচ করেই শত্রুকে ধ্বংস করতে চাইছে। কিন্তু কেন এমন হিংসাত্মক প্রবৃত্তি বাড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে? মনোবিদদের মতে, জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারীদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার মধ্যে একধরনের মানসিক তৃপ্তি পায় তরুণ প্রজন্ম। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এমন লড়াইয়ের পরতে পরতে থাকে আতঙ্ক। সঙ্গে টানটানা উত্তেজনা। আর সেই দুর্গম পথ পার হয়ে সাফল্যের আনন্দ। তবে অন্যান্য গেমের মতো প্রতিপক্ষকে বিনাশ করার আনন্দেই বাড়ছে এধরনের গেম ডাউনলোডের সংখ্যা।
[শীঘ্রই ভারতে 5G স্মার্টফোন আনছে এই দুই সংস্থা]
তবে PUBG, ফোর্টনাইট, কল অফ ডিউটির মতো গেমগুলি বর্তমানে এমনিই জনপ্রিয়। কিন্তু এদেশের তরুণরা বেশি আগ্রহী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সংক্রান্ত গেমিংয়ে। তবে বাড়তে থাকা এই প্রবণতায় ভীত অভিভাবকরা। উল্লেখ্য, যেসব গেম মানসিকভাবে মানুষের ক্ষতি করে, গত বছর তার বিরুদ্ধে সাধারণকে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তবে গেম নির্মাতাদের অনেকের দাবি, এসমস্ত গেম শুধু হিংসা ছড়ায় না, বরং কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেও শেখায়। ইউজারকে সাহসী করে তোলে।