সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা একটু নাকি পুরনোপন্থী। মানে ফ্যাশনদুনিয়ার আনাচে কানাচে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতে একটু আপত্তি আছে তার। এ শহর সাজতে জানলেও, স্টাইল স্টেটমেন্ট নাকি চট করে বদলাতে চায় না। মানে এক্সপেরিমেন্ট তারা করতে চায় না, অন্তত ফ্যাশন নিয়ে। সত্যি তাই কি? হালফিলের ফ্যাশন দুনিয়া কিন্তু একটু অন্য কথাই বলছে।
ফ্যাশনে এখন ভীষণভাবে ইন থিং হেয়ার ট্যাটু। মানে পাতি বাংলায় চুল নিয়ে হাজারও চুলোচুলি, নানান কারিকুরি। সমীক্ষা বলছে সেই কারিকুরিতে এখন মজেছে তিলোত্তমা। দিব্যি বিভিন্ন হেয়ার ট্যাটু করাচ্ছে এই প্রজন্ম। চাহিদা বাড়ছে। তাই বাড়ছে এর প্রচারও। শহুরে সীমানায় আপাতত আটকে থাকলেও, ধীরে ধীরে বাড়ছে এর পরিসর।
ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, পল পোগবার মত এই শহরেও চুলের কারিকুরি চোখে পড়ছে মাঝেমধ্যেই। কলকাতার নামজাদা হেয়ারস্টাইলিস্টরা জানাচ্ছেন এখন শুধু শরীরে ট্যাটু নয়, হেয়ার ট্যাটুও করাতে চাইছেন অনেকে। শহরের অনেক চেনা মুখ হেয়ার ট্যাটু করাতে আগ্রহী। করিয়েছেনও। নৃত্যশিল্পী সুদর্শন চক্রবর্তী এই তালিকায় বেশ আগে। ২০০৪ সালেই হেয়ার ট্যাটু করিয়েছেন তিনি। এই ট্যাটু তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগায়, বলে জানাচ্ছেন সুদর্শন। সম্প্রতি হেয়ার ট্যাটু করিয়েছেন ড্রামার ও ফিটনেস এক্সপার্ট নিকিতা চৌধুরিও। নতুন লুকে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি, জানালেন নিজেই। কালার, পার্মিং, স্ট্রেটনিং-এ বেশ ক্ষতি হয় চুলের। তার বদলে এই ট্যাটু, লুক চেঞ্জ করে দিচ্ছে আমূল। ক্ষতিও হচ্ছে না চুলের। তাই এখন ট্যাটুর রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছে নতুনরা।
এই পুজোতে তাহলে জামাকাপড়ের স্টাইল থাক। হোক হেয়ার ট্যাটু। তাহলে আর কদিন বাদেই বলা যাবে চুলের আমি, চুলের তুমি, চুল দিয়ে যায় চেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.