সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জন নারী-পুরুষের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কে যৌন মিলন হলে তা ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে না। এমনটাই রায় দিল বম্বে হাই কোর্টের গোয়া শাখা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে, এবং পরে বিয়েতে অরাজি হলেই তাকে ধর্ষণ বলা যায় না। সদ্য একটি মামলায় রায়দান করতে গিয়ে এমনটাই জানাল আদালত।
[চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত সহযাত্রীকে টানতে টানতে থানায় নিয়ে গেলেন যুবতী]
২০১৩-তে গোয়ার একটি ক্যাসিনোর কর্মী যোগেশ পালেকর এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার শারীরিক মিলনও হয় তাঁদের মধ্যে। প্রেমিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন যোগেশ। তবে কোনও কারণে হঠাৎ বিয়ে করতে অরাজি হন তিনি। তারপরই শুরু হয় ঝামেলা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে যোগেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন তরুণী। নিজের অভিযোগে তরুণী জানিয়েছিলেন, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন যোগেশ। নানান চাহিদা মেটাতে যোগেশকে কয়েক দফায় বেশ কিছু টাকাও দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক পথেই চলছিল তাঁদের সম্পর্ক। তবে হঠাৎ একদিন বেঁকে বসেন যোগেশ।
নিম্ন আদালতে চলা ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন যোগেশ। তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকার জরিমানাও ধার্য করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন যোগেশ। সেই মামলার শুনানির শেষে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেয় বম্বে হাই কোর্টের গোয়া শাখা। রায়্দানের সময় বিচারপতি সিভি ভাদাং বলেন, “দু’জনের মধ্যে যৌনমিলন শুধুমাত্র অভিযুক্তের মতেই হয়নি। এতে সম্মতি ছিল উভয়পক্ষেরই। মামলাটি খতিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে দু’জনের মধ্যে গভীর ভালবাসা থেকেই সহবাস। ফলে এটিকে কোনওমতেই ধর্ষণ বলা যায় না।”
[নেতা-মন্ত্রীদের নাম করে হুমকি শিক্ষিকার, স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের]