সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামী বিয়ে! নৈব নৈব চ। বিয়ের অনুষ্ঠানের ভেন্যু ঠিক করতে এসে ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়া পেলেন দুই যুবতী। ভেন্যু কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিল, সমকামী বিয়ের আয়োজন করতে রাজি নয় তারা।
না, এদেশে নয়। এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। অথচ মজার বিষয় হল, বহুদিন ধরেই দুই সমকামী পুরুষের বিয়েতে সম্মতি দেয় আফ্রিকা। কিন্তু সাশা লি হিকস এবং মেগান ওয়াল্টিংয়ের অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা হল। তাঁরা জানান, ২০২১ সালের এপ্রিলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই ভেন্যু খুঁজতে বেরিয়ে বেলোফটেবোস ওয়েডিং ভেন্যু দারুণ পছন্দ হয়ে যায় তাঁদের। ঠিক করেন, সেখানেই চারহাত এক করবেন। কিন্তু বাদ সাধে ভেন্যুর মালিক। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, খ্রিস্ট ধর্মের কিছু বিশ্বাসের কারণেই সমকামী বিয়ের আয়োজন তাঁরা করেন না। ভেন্যু মালিকের থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হতভম্ব হিকস। সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনা তুলে ধরেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জেএনইউ’র সার্ভার রুমে ভাঙচুর করা হয়নি, RTI-এ জানাল বিশ্ববিদ্যালয়]
সম্প্রতি তিনি বলেন, “বোঝাতে পারব না কতটা খারাপ লেগেছে। সমাজের এই কুসংস্কারগুলো নিয়ে এখনও ভাবা হয় না।” এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের করার কথাও চিন্তাভাবনা করছেন দুই সমকামী প্রেমিকা। যে কারণে সমকামী যুগল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন তিনি।
২০০৬ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈধভাবে সমকামী পুরুষদের বিবাহের প্রচলন রয়েছে। অথচ এত বছর পর এই দেশেই এভাবে সমকামী দুই যুবতীর বিয়ের আয়োজনের প্রস্তাব খারিজ করা হল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। দেশের মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক আন্দ্রে গৌম বলেন, “ধর্মের নাম করে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এভাবে বিভেদ সৃষ্টি করা একেবারেই অনুচিত।” শুধু মহিলাদের জন্যই ধর্মের দোহাই দেওয়ার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, সমকামী দুই যুবতী নিশ্চিতভাবে বিয়ের জন্য কোনও ভেন্যু খুঁজে পাবেন। তবে হিকস ও মেগানই নয়, এর আগেও ওই ভেন্যুর মালিক মহিলা সমকামী যুগলকে একই কারণে ফিরিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় নেটিজেনদের পাশে পেয়ে খুশি দুই যুবতী।