সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকাকরণের পর একটু হলেও কমেছিল যোনিমুখ ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ফের মুখ থুবড়ে পড়ল চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি। চিকিৎসকদের কপালে ভাঁজ ফেলে ফের বাড়ছে সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধুই যোনি মুখের ক্যানসার নয়, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) সংক্রমণের কারণে বাড়ছে গলা ও অন্য বেশ কিছু অঙ্গে ক্যানসারের প্রবণতা।
[মিলনের সময় এই কাজগুলি করলেই বাড়তি আমেজ পাবে সঙ্গী]
সম্প্রতি প্রকাশিত ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে এই ভাইরাস আক্রমণে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার যা ২০১৫ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার। হঠাৎ এই উলটো পুরাণের কারণ নিয়ে চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ যত বেড়েছে ততই খোঁজ পড়েছে প্রকৃত কারণের। এইচপিভি ভ্যাক্সিনে ফল মিলছে না বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, টিকাকরণে সাফল্য না মেলায় রোগের পুনরাবির্ভাব ঘটছে। মার্কিন মুলুকে ছেলে হোক বা মেয়ে, বয়ঃসন্ধি পেরলেই এইচপিভি ভ্যাক্সিন নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যদিও ভ্যাক্সিন নিতে মানুষকে যথেষ্ট উৎসাহী করা যায়নি। বরং টিকাকরণের বিষয়ে সাধারণের উৎসাহে বেশ কিছুটা ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে, বয়ঃসন্ধির গণ্ডি পেরতে না পেরতেই শুরু হয়ে যায় অবাধ যৌন সম্পর্ক। যৌবনের চাহিদা পূরণে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে পৌঁছে যেতেও দেরি হয় না। আর সেই বহু মিলনের সুযোগেই শরীরে ঢুকে পড়ে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণে শুধু যৌনাঙ্গই নয়, সঙ্গে মলদ্বার, ঠোঁট, মুখ, গলাতেও ক্যানসার হতে পারে। সবমিলিয়ে এগারো বছর বয়স হলেই ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলকে টিকাকরণে উৎসাহী করাই এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্চ।
[ পর্ন ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত হবেন না, মিলনের সময় বেছে নিন সঠিক পজিশন]