Advertisement
Advertisement
skincare

শীতে রুক্ষ ত্বক? জেল্লা ফেরাবে ঘরে তৈরি আয়ুর্বেদিক তেল, জেনে নিন বানানোর পদ্ধতি

মহানাশ তেলে মুক্তি পাবেন বিবিধ ব্যথা-বেদনা থেকে।

skincare for winter Make ayurvedic oil at home | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 24, 2021 8:38 pm
  • Updated:November 24, 2021 8:40 pm

শীতকাল মানেই রুক্ষ-শুষ্ক ত্বক নিয়ে নাজেহাল। নামী-দামি ক্রিম লাগিয়েও জেল্লা অধরাই থেকে যায় অনেকেরই। সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতে পারে যদি বাড়িতেই বানিয়ে নেন কিছু তেল। যেগুলির অপার উপকারিতার কথা শোনালেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ঘোষ। কথা বললেন গৌতম ব্রহ্ম। 

য়ুর্বেদ (Ayurvedic) দৃষ্টিকোণে শীতকালে নিয়মিত তেল (Oil) মাখার বহুমুখী গুণাগুণ রয়েছে। এতে যেমন শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, মাংসপেশী সুদৃঢ় হয়, এছাড়াও অভ্যঙ্গ বা তৈলমর্দন দৃষ্টিপ্রসাদন করে, তারুণ্য বজায় রাখে, ক্লান্তি নাশ করে, এটি নিদ্রাদায়ক। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অভ্যঙ্গ বা তেল মালিশ এক অদ্বিতীয় উপাচার। আচার্য সুশ্রুত মতে নিয়মিত মাথায় তেল মাখলে কেশ কোমল, ঘন, কৃষ্ণবর্ণ ও লম্বা হয় ও শিরোশূন্যতা সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। তবে জ্বর, সর্দি, কাশি, অজীর্ণ রোগীদের ও মাসিক চলাকালীন কালে অভ্যঙ্গ নিষেধ।

Advertisement

অভ্যঙ্গের মুখ্যস্থান
তেল নিয়মিত সারা শরীরেই মাখা উচিত তবে বিশেষরূপে মাথা, কান ও পায়ের পাতাই তেল মালিশের মুখ্যস্থান।

Advertisement

কী ধরনের তেল
আচার্য বাগভট মতে শীতকালে ব্যবহৃত তেলটি বাতনাশক গুণযুক্ত হতে হবে।

তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি
মুখের সৌন্দর্যচর্চায় কুমকুম তেল: যাঁদের ত্বক রুক্ষতার জন্য জৌলুসহীন হয়ে পড়ছে তাঁরা ৫০ গ্রাম পরিমাণ নারকেল তেলে ৪-৫ গ্রাম জাফরান মিশিয়ে কাচের শিশিতে মুখবন্ধ অবস্থায় দিন চারেক রৌদ্রে রেখে দিন। তারপর নিয়মিত রূপে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষতা দূরীভূত হয়ে মুখের লাবণ্য ও কান্তি ফেরে।

[আরও পড়ুন: আবহাওয়ার রদবদলে বাড়তে পারে ভাইরাসের প্রকোপ! জেনে নিন কীভাবে থাকবেন সুস্থ]

ত্বকের পুষ্টিরক্ষায় অশ্বগন্ধা-বলা তেল: ১০০ গ্রাম মতো জৈতুনের তেলে ৫ গ্রাম অশ্বগন্ধা ও ৫ গ্রাম বলাচূর্ণ মিশিয়ে মৃদু আঁচে পাক করে ছেঁকে রাখুন। এই তেলের অভ্যঙ্গ ত্বকের পুষ্টি রক্ষায় অদ্বিতীয়।
ব্যথা-বেদনা উপশমে নিশিন্দা তেল : শীতকালে শরীরে বাতের যন্ত্রণায় প্রায়ই যাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা ১০০ গ্রাম তিলতেল মৃদু গরম করে একমুঠো পরিমাণ নিশিন্দা পাতা দিয়ে মৃদু তাপে পাক করে নিন।পাতাগুলো তাপে বাদামী বর্ণের হতে শুরু করলে তেলটি নামিয়ে ছেঁকে রাখুন। বাতের প্রাথমিক স্তরের ব্যথা বেদনায় এই নিশিন্দা তেলের ব্যবহার বেশ ফলপ্রসূ।

চুলের পরিচর্যায় আমলা ভৃঙ্গরাজ তেল: কাচের বোতলে পরিমাণমতো নারকেল তেলের সঙ্গে শুকনো আমলা ও ভৃঙ্গরাজ মিশিয়ে রাখুন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে চুল থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে।

বিবিধ ত্বকজ বিকারে কণ্ডুঘ্ন তেল: শ্বেতচন্দন, জটামাংসি, অমলতাস, নক্তমাল, নিম, কুটজ, দারুহরিদ্রা, যষ্টিমধু ইত্যাদি দ্রব্য সহযোগে পূর্বোক্ত মাপে তৈরি তেল চর্মের বিবিধ সমস্যায় যথেষ্ট ফলপ্রসূ।

[আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আশা দেখাচ্ছে ফাইজারের নতুন ট্যাবলেট, দামও সাধ্যের মধ্যে]

ব্যবহারবিধি
তিল তেল: দ্রব্যগুণ দৃষ্টিকোণে তিলতেল গুরুগুণ যুক্ত, বলকারক, বর্ণ প্রসাদক, সূক্ষ্মস্রোতগামী, বাতনাশক, পুষ্টিকারক, শরীর লঘুতাকারী এই তিল তৈলাভ্যঙ্গ চর্ম, কেশ ও চক্ষুর হিতকারক।
সর্ষপ তেল অর্থাৎ সরষের তেল: খাঁটি সরষের তেল উষ্ণ স্পর্শ, লঘু, তীক্ষ্ণ গুণযুক্ত অন্যদিকে এটি কফ, মেদ, শিরোরোগ, কর্ণরোগ ও দুষ্টব্রণ নাশক।
নারিকেল তেল: এটি গুরুগুণ যুক্ত, পুষ্টিকারক, বাত পিত্তপ্রশমক, শ্বাস, কাশ, স্মরণশক্তি হীনতায় প্রশস্ত।
মহামাশ তেল: এই শীতে রুক্ষ প্রধান ব্যক্তিদের সন্ধি সম্বন্ধীয় বিবিধ ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মহামাশ তেল বেশ ফলপ্রসূ।
প্রসারণী তেল: পেশিতে টান বা শিরা সংকোচজনিত সমস্যায় ভুক্তভোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রসারণী তেল একটু গরম করে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত ব্যবহার করলে সুফল পাবেন।
বলা তেল: এটি মূলত বাতনাশক ও ক্ষীণঅঙ্গের ক্ষেত্রে বেশ পুষ্টিদায়ক গুণযুক্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ