সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়। একটি বোতামে ক্লিক করে কলকাতায় বসেই আপনি দেখে নিতে পারেন সুদূর আফ্রিকার জঙ্গলের ছবি। ভিডিও কল করে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে থাকা আপনার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে গল্প করতে পারেন। ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। আর এসবই সম্ভব হবে, যদি আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে। তাই নিজের স্মার্টফোনটি কাছ ছাড়া করতে চান না কেউ-ই। কিন্তু আপনার সেই সাধের স্মার্টফোনটি মস্তিষ্কের কতখানি ক্ষতি পারে, তা জানেন কি? সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ যদি স্মার্টফোন আপনার চোখের সামনে বা নাগালের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। কমে যেতে পারে মনোসংযোগ করার ক্ষমতা, এমনকী কর্মদক্ষতাও।
[দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্যাঙ্কার থেকে তেল চুরির হিড়িক, বিস্ফোরণে পাকিস্তানে মৃত্যুমিছিল]
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোনের গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই, তেমনি এই স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিকগুলিও কিন্তু কোনওভাবে অবহেলা করা উচিত নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় স্মার্টফোনের তেমনই একটি ক্ষতিকর দিক সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, স্মার্টফোনের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় একজন মানুষ কত ভাল কাজ করতে পারেন, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন একদল বিজ্ঞানী। প্রায় ৮০০ জনকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে একটি পরীক্ষা নেন তাঁরা। পরীক্ষা চলাকালীন কয়েকজন অংশগ্রহণকারীদের স্মার্টফোনটি ডেস্কের উপর, পকেটে কিংবা ব্যাগে রাখতে বলা হয়। আর বাকিদের স্মার্টফোনগুলি অন্য একটি ঘরে রাখা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, যাঁদের স্মার্টফোনটি পাশের ঘরে ছিল, তাঁরাই কাজটি অনেক সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি হয়তো সচেতনভাবে স্মার্টফোন নিয়ে ভাবছেন না। কিন্তু কোথাও না কোথাও মাথার মধ্যে সেই ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ফলে অন্য কোনও কিছুতে মনসংযোগ করতে পারছেন না। আর এই চিন্তাই অজান্তে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে দিচ্ছে। এটাকে বলা হয় ‘ব্রেন ড্রেন’। তাই স্মার্টফোনটি শুধু বন্ধ করে রাখলেই হবে না, সেটি আপনার চোখের বা হাতের নাগালের বাইরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, ফোনে বারবার নোটিফিকেশন আসছে বলে মনসংযোগের অভাব হচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং স্মার্টফোনটি হাতের নাগালে থাকার কারণেই মস্কিষ্কের একটা অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। তাই কাজটাও ঠিকমতো হচ্ছে না।
[জানেন, সপ্তাহে কতবার খান এই দম্পতি?]
সুতরাং এখন থেকে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে সচেতন হোন। প্রয়োজন ছাড়া নিজের থেকে ফোন দূরে রাখার অভ্যাস করুন।