BREAKING NEWS

২২ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৬ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

চিনা স্মার্টফোন মারফত ভারতের তথ্য পাচার হচ্ছে বেজিংয়ে!

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: August 16, 2017 3:23 pm|    Updated: October 5, 2019 12:28 pm

Centre slams notice on Chinese smartphone makers over data theft

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথ্য পাচার, লোপাট ও ফাঁসের অভিযোগে ২১টি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা। বুধবার কেন্দ্রের তরফে সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে, মোবাইল তৈরির সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী সতর্কতা গ্রহণ করা হয়, সেটা অবিলম্বে জানাতে হবে কেন্দ্রকে।

মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন, ভারতীয় গ্রাহকদের তথ্য চুরি ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি বিশ্বের একাধিক দেশে চিনা সামগ্রী মারফত তথ্য চুরি যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন সেনাবাহিনী তো বেশ কিছু চিনা বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করা বন্ধও করে দিয়েছে। ভারত থেকেও এরকম অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চিনা স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর রাশ টেনেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এবার একেবারে আম নাগরিককেও চিনা স্মার্টফোন ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র।

আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে চিনা সংস্থাগুলিকে বিশদে লিখে জানাতে হবে, মোবাইল থেকে তথ্য চুরি ঠেকাতে তারা কী কী সতর্কতা অবলম্বন করছে। যদি দেখা যায়, চিনা অপারেটিং সিস্টেম, কোনও প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ বা ডিভাইস মারফত তথ্য বেজিংয়ে তথ্য পাচার হচ্ছে, তাহলে মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দোষী চিনা সংস্থাকে। এমনকী, মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের সেকশন ৪৩(এ) ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত কর্পোরেট সংস্থাকে শাস্তি পেতে হতে পারে। কারণ, মোবাইল-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপন রাখার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার লঙ্ঘিত হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

[চিনা সংস্থার স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে চিনে]

তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ওই কর্তা বলছেন, ‘ভারতে বিক্রি হয়, এমন যে কোনও চিনা স্মার্টফোন থেকে যে তথ্য পাচার হচ্ছে না, সেটা নিশ্চিত করতেই এই নয়া উদ্যোগ।’ বস্তুত, ডোকলাম সীমান্তকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চূড়ান্ত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে মৌখিক তোপ দেগেই চলেছে। যদিও ভারত আগ বাড়িয়ে চিনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং চিনা বিদেশমন্ত্রক, লালফৌজের বড়কর্তারা ও চিনের সরকারি মিডিয়া ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে প্রত্যহ।

এই পরিস্থিতিতেও চূড়ান্ত ধৈর্য দেখিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু চিনকেও যে চাপে রাখা প্রয়োজন, সেটা বুঝতে পেরেই বেজিংকে হাতে নয় ভাতে মারতে চাইছে নয়াদিল্লি। প্রথমে চিনা পণ্যের উপর বাড়তি কর বসিয়ে, আর এবার ভারতে চিনা মোবাইলের রমরমা বাজারকে খানিকটা ধাক্কা দিতেই অতিরিক্ত উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র, মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারতে প্রায় ২০ কোটি চিনা মোবাইল বিকিকিনি হয়। মোবাইল বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় সেটাই চিনের বন্দুক-গোলাগুলি কিনতে কাজে লাগে। ওই টাকার জোগানকে খানিকটা হলেও স্তব্ধ করে দিতে পারলে ডোকলাম নিয়েও সুর নরম করতে বাধ্য হবে চিন, অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের।

[চলতি বছর ভারতের বাজারে আসছে এই ৭ স্মার্টফোন]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে