সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেটগতিতে এগিয়ে চলছে দুনিয়া। বই-খাতা-কাগজের জায়গায় এখন এসেছে ই-বুক, মোবাইল এবং আরও অনেক অত্যাধুনিক গ্যাজেট। কিন্তু ২০১৭ সাল না হয়ে, এটাকে যদি ১৯১৭ সাল ধরে নেওয়া যায়? কিংবা কোনও এক ১৮৯০-এর সকাল মনে করা হয়? তাহলে? না বাস্তবে হয়তো তা সম্ভব নয়, কিন্তু কল্পনায় সম্ভব। আর সেই কল্পনায় পাড়ি দিয়ে অতীতে গেলে দেখা মিলবে এমন অনেক কিছুর, যেগুলির এখন হয়তো মূল্য অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু সেসময় দৈনন্দিন জীবনে সেটির কদর কিছু কম ছিল না। এরকমই একটি জিনিস ‘হোল পাঞ্চার’। চলতি নভেম্বরেই ১৩১ তম জন্মদিনে পা দিল বিজ্ঞানের এই ছোট অথচ দৈনন্দিন জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি। আর সেজন্য সেজে উঠেছে গুগল ডুডলও।
[OMG! হাঙরের শরীরে সাপের মাথা, দেখা মিলল জুরাসিক যুগের প্রাণীর]
বিশ্বের জনপ্রিয়তম সার্চ ইঞ্জিন গুগল। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে নানা ধরনের ডুডল তৈরি করে থাকে এই মার্কিন সংস্থা। আবার বিশেষ কোনও ব্যক্তির জন্মদিন বা মৃত্যুদিনেও গুগলের ডুডল নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের। আর এদিন ‘হোল পাঞ্চার’ নিয়েই তৈরি করা হয়েছে সেটি। দেখানো হয়েছে, গুগল এর মাঝখানে একটি ‘g’ এর জায়গায় রয়েছে একটি পৃষ্ঠা। একটি হোল পাঞ্চার এসে তাতে দু’টি ছিদ্র করলেই যেন প্রাণ পাচ্ছে ওই পৃষ্ঠাটি। আর মনের আনন্দেই যেন নেচে উঠছে। google.co.in-এ গেলেই যা দেখতে পাবেন আপনিও।
[মহিলাদের সঙ্গে ব্যবহারের কায়দা শিখতে হবে কনস্টেবলদের, নিদান মুম্বই পুলিশের]
একসঙ্গে অনেকগুলি পৃষ্ঠাতে ছিদ্র করা কিংবা টিকিট পরীক্ষার পর সেটিতে একটি ছিদ্র করা অথবা হালফিলে দপ্তরের এক তাড়া কাগজকে একসঙ্গে বাঁধতে ছিদ্র করা-সবেতেই ডাক পড়ে ছোট্ট যন্ত্রটির। ছোট থেকেই চোখের সামনে দেখে আসা যন্ত্রটির বয়স কিন্ত অল্প নয়। প্রায় ১০০ বছর পুরানো। কে আবিস্কার করেছেন? এই প্রশ্ন নিয়ে কিছুটা জল্পনা থাকলেও গুগল অনুযায়ী, ১৮৮৬ সালের ১৪ নভেম্বর জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক সোয়েনেকেন এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করে পেটেন্ট দাখিল করেন। তবে কেউ বলেন ১৮৮৫ সালে বেঞ্জামিন স্মিথ স্প্রিং দিয়ে তৈরি এই ধরনের একটি মেশিন তৈরি করেছিলেন। আবার কারো মতে, ১৮৯৩ সালে চার্লস ব্রুকস নামে এক ব্যক্তি টিকিট পাঞ্চ করার জন্য এই ধরনের একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। যাই হোক কে আবিষ্কার করেছেন, সেই তর্ক বাদ দিয়ে যন্ত্রটি হারিয়ে যাওয়ার আগে একবার না হয় বলেই নিলাম ‘হ্যাপি বার্থডে হোল পাঞ্চার।’