সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে এল ব্ল্যাকবেরি। না, এবার কোনও নতুন স্মার্টফোন আনার জন্য নয়, বরং সোশ্যাল জায়েন্ট ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মার্কিন ডলারের মামলা রুজু করে। ব্ল্যাকবেরির অভিযোগ, তাদের মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন বিবিএম-এ যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হত, সেই প্রযুক্তি ‘চুরি’ করে ‘পেটেন্ট আইন’ লঙ্ঘন করেছে।
[আপনার WhatsApp-এর অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে আসছে নয়া ফিচার]
তখনও ফেসবুক আসেনি। ২০০০-এ ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার তখন ব্যাপক জনপ্রিয়। এখন সংস্থাটির অভিযোগ, বিবিএমেরই মেসেজিং প্রযুক্তি বেআইনিভাবে ব্যবহার করে ফেসবুক তাদের মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ পরিচালনা করছে। কিন্তু ওই প্রযুক্তি ব্ল্যাকবেরির ‘ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি’। সংস্থা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, গত বেশ কয়েকবছর ধরেই এই অভিযোগ ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো সত্ত্বেও অভিযুক্ত সংস্থা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে ব্ল্যাকবেরি।
ব্ল্যাকবেরি চায়, ফেসবুক তাদের প্রাইমারি অ্যাপ পরিষেবাগুলি বন্ধ করে দিক। সেই সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম পরিষেবাও বন্ধ করুক অবিলম্বে। ইতিমধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি মার্কিন ডলারের মামলাও রুজু করেছে ব্ল্যাকবেরি। যদিও টাকার নির্ভুল অঙ্কটি’ এখনও জানা যায়নি। ব্ল্যাকবেরির অভিযোগ, তাদের বিবিএমের বহু ফিচারই আইন ভেঙে চুরি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেমন ইনবক্সে একসঙ্গে একাধিক মেসেজ দেখতে পাওয়া, ফোনের উপরে ‘আনরিড মেসেজ’ নোটিফিকেশন-সহ একগুচ্ছ প্রযুক্তি চুরি করে কর্পোরেট আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থাটি। তবে ফেসবুকও চুপ করে বসে নেই। ফেসবুকের তরফে ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল পল গ্রেওয়াল বলছেন, ‘মিথ্যা বদনাম দিয়ে মামলা রুজু করে মেসেজিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্ল্যাকবেরি নিজেদের হতাশা ব্যক্ত করছে।’