তরুণকান্তি দাস: এ যেন ঘরে ঘরে সেলুন। অন্দরে অন্দরে বিউটি পার্লার। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির চুল ছেঁটে দিচ্ছেন অভিনেতা স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল অনেক আগেই। দু’মাস লকডাউনের বাজারে সেই ট্রেন্ড যেন চলেছে সমানে। সকলেই চুলের ছাঁট দিতে পারদর্শী। আবার সকলেই যেন বিউটিশিয়ান। তাই অনলাইনে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই সংক্রান্ত জিনিসপত্রের চাহিদা। সমীক্ষার চমকে দেওয়া রিপোর্ট বলছে, এই চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ গুণ বেড়ে গিয়েছে!
রাত পেরোলে সরকারিভাবে খুলছে সেলুন ও পার্লার। তার আগে অনলাইনে বিক্রির যে সমীক্ষা রিপোর্ট এসেছে তা চমকে দেওয়ার মতোই। ই-কমার্সের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল দাড়ি কাটার যন্ত্র, ট্রিমার, চুল ছেঁটে ফেলার মেশিন এবং মহিলাদের রূপচর্চার নানাবিধ উপকরণের। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, এক্ষেত্রে পুরুষদের জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়েছিল ১২ গুণ। আর মহিলাদের ফেসপ্যাক থেকে নিজের হাতে ভ্রু প্লাক করার জিনিসের চাহিদা বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের।
[আরও পড়ুন: আমফানে বেহাল ইন্টারনেটে বিপর্যস্ত ব্যাংক-হাসপাতাল, স্বাভাবিক হতে লাগবে আরও সময়]
জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটগুলি নিয়ে সমীক্ষা চালানো ইউনিকমার্সের সিইও কপিল মাখিজা বলছেন, “এটা লকডাউনের বাজারের নয়া ট্রেন্ড। সেলুন দু’মাস বন্ধ থাকলে আমজনতার কতখানি সমস্যা হতে পারে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে অনলাইনে চুল ও দাড়ি কাটার যন্ত্রপাতির চাহিদা। মহিলাদের রূপচর্চার সামগ্রীর পাহাড়প্রমাণ চাহিদা দেখিয়ে দিচ্ছে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে বিউটি পার্লার বানিয়ে তুলতে সচেষ্ট।”
চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়া যে ব্যবসার অন্যতম ধর্ম, তার প্রমাণ দিচ্ছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি। অনলাইন শপিং কোম্পানিগুলোর তরফে এখন সামান্য কাঁচি থেকে শুরু করে হেয়ার রিমুভার, সবই হাজির করা হয়েছে ক্রেতাদের কাছে। ই-কমার্স সংস্থা স্ন্যাপডিলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রজনীশ ওয়াহি জানান, “সবচেয়ে বেশি চাহিদা হেয়ার ট্রিমার, আফটার শেভ লোশন-সহ সেলুনের জিনিসপত্রের। চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। মহিলাদের রূপচর্চার জিনিসের জোগানও বাড়াতে হয়েছে আমাদের।” আসলে সেলুন বন্ধ থাকাতেই ই-কমার্সের ব্যবসায় খুলে গিয়েছে অন্য দরজা।