সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজিটাল মাধ্যমে যাঁরা লেনদেন করতে অভ্যস্ত, তাঁরা ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’-এর সঙ্গে যথেষ্টই পরিচিত। লেনদেনকে সুরক্ষিত রাখতে খানিকক্ষণের জন্য ভ্যালিড থাকে, এমন একটি পাসওয়ার্ড পাঠায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ অফিসাররা এখন জানাচ্ছেন, সেই OTP-ও এখন আর নিরাপদ নয়। প্রতারকরা নকল ওটিপি তৈরি করে সম্প্রতি এক ব্যাঙ্ক কর্তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৪ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে।
[SBI-তে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, এই খবরটি জানেন কি?]
এর জন্য টেলিকম এনফোর্সমেন্ট রিসোর্সেস বা TERM -কেই দায়ী করেছে সাইবার পুলিশ। হায়দরাবাদ ক্রাইম পুলিশের দাবি, নকল সিম কার্ড ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা অন্যের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থাগুলি যেন নকল সিম কার্ডগুলি অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে অন্তত পাঁচটি চিঠি TERM-কে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ চায়, নকল নথি দাখিল করে কাউকে সিম কার্ড দিলে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার নিয়ম চালু হোক। সাইবার ক্রাইম শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার কে সি রঘু বলছেন, ‘নকল নথি পেশ করে কেউ যদি কোনও সিম কার্ড তোলেন, তাহলে সেটা চিহ্নিত করে নম্বরটি ব্লক করতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকেই। নইলে প্রতারকরা নম্বরগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে ফোন করে নিজেদের ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁদের ফোন নম্বর জেনে নিচ্ছে। তারপর নিজেদের নকল সিম থেকে গ্রাহকদের ফোনে OTP পাঠিয়ে তাঁদের বোকা বানাচ্ছে।
পুলিশের অভিযোগ, সিম কার্ড কেনার প্রক্রিয়া নিশ্ছিদ্র ও নিরাপদ হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে অধিকাংশ টেলিকম সংস্থাই খুব সহজে ও সেভাবে যাচাই না করেই সিম কার্ড দিয়ে দিচ্ছে। আজকাল পানের দোকানেও সিম কার্ড মেলে। এমনকী, পরে ভেরিফিকেশনের দিকেও সেভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে পুলিশের অভিযোগ। ফলে পুলিশের কাজ আরও জটিল হয়ে যায়। কারণ, নম্বর ট্র্যাক করে দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলে পুলিশকে বোকা বনতে হয় সকল সিম কার্ডের জন্য। শুধুমাত্র হায়্দরাবাদেই গত এক বছরে OTP সংক্রান্ত জালিয়াতির শতাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের সিম কার্ড ব্যবহার করে চলছে জালিয়াতি। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরতে অন্য শহরের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় লেগে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানোর অছিলায় দুষ্কৃতীরা এই ধরনের প্রতারণা সবচেয়ে বেশিবার করছে বলে সতর্ক করেছে পুলিশ।