সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফিরে এল টিকটক (TikTok)। নিষিদ্ধ করার দশ দিন পরে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রকের তরফে জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপের উপর থেকে তুলে নেওয়া হল নিষেধাজ্ঞা। এদিন পিটিএ-র তরফে এক টুইটে জানানো হয়, নির্দিষ্ট শর্তে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। পিটিএ আরও জানিয়েছে, বারবার অশ্লীল ও অনৈতিক কনটেন্ট পোস্ট করা হলে সেই অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করে দেওয়া হবে বলে টিকটিক কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, টিকটক কর্তৃপক্ষ ১৭ অক্টোবর জানিয়েছিল, যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় তাহলে তারা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করবে। সেই আশ্বাসের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উঠল নিষেধাজ্ঞা।
এই অ্যাপে আপলোড হওয়া ভিডিওর কনটেন্ট নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এরপর চিনা অ্যাপটিকে সতর্কও করে প্রশাসন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তারপরই টিকটককে নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটে পাকিস্তান সরকার। আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তি অবশ্য অনেক আগেই উড়িয়ে দিয়েছিল টিকটক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছিল, ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ভাগে এই ধরনের প্রায় ৩৭ লক্ষ ভিডিও তারা পাকিস্তানের টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়েছে। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ ভিডিও রিপোর্ট করার আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে আড়াই কোটি মানুষ অ্যাপটি ব্যবহার করতেন। তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মহিলা। ৯৬ শতাংশই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী।
Press Release: PTA has restored TikTok services with certain conditions. pic.twitter.com/Zt7bjAmdN4
— PTA (@PTAofficialpk) October 19, 2020
[আরও পড়ুন: করোনায় কাঁপছে ইউরোপ, ফ্রান্সের পর সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ জারি করল ইটালি]
মনে করা হচ্ছে, অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পর থেকেই ‘বন্ধু’ চিনের তরফ থেকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা টিকটককে নিষিদ্ধ করেছে। কেবল ভারতই নয়, অন্য বহু দেশই আপত্তি জানিয়েছে এই অ্যাপের ভিডিওগুলির নৈতিকতা নিয়ে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এহেন সিদ্ধান্তে চাপ আরও বাড়ছিল চিনের উপরে। তারাও পালটা চাপ দিতে শুরু করেছিল। নিষেধাজ্ঞা না তুললে তা দুই দেশের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলত বলে মনে করা হচ্ছে।