Advertisement
Advertisement
social media

দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে হিংসা, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

নেটদুনিয়ার দাপাদাপি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল পাক সরকার।

Pakistan temporarily bans all social media in wake of ongoing protests | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 16, 2021 1:59 pm
  • Updated:April 16, 2021 1:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান (Pakistan)। আর তার জেরেই সাময়িকভাবে সে দেশে নিষিদ্ধ করা হল সোশ্যাল মিডিয়া। যার জেরে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক (Facebook), টুইটার, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো সমস্ত সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলি আপাতত অকেজো হয়ে পড়েছে।

মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। সেই হিংসা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ্যমে। তাতেই লাগাম টানতে শুক্রবার নেটদুনিয়ার দাপাদাপি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইমরান খানের সরকার। এদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিন সকালেই পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অফরিটিকে দেশজুড়ে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেয়। ফলে আপাতত ইন্টারনেট ডেটা, ব্রডব্যান্ড কিংবা ওয়াই-ফাই, কোনওভাবেই সোশ্যাল সাইটগুলি ব্যবহার করতে পারবেন না সে দেশের নাগরিকরা। শুক্রবারের নমাজের পর হিংসা আরও বাড়তে পারে। এই আশঙ্কা করেই এমন সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে পাকিস্তান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সেনাশাসনের প্রতিবাদ করায় মায়ানমারে ফিল্মি কায়দায় অপহৃত বিরোধী নেতা]

গত সোমবার থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করেছিল ‘তেহরিক-ই-লাবায়েক পাকিস্তান’ বা TLP। তাদের প্রধান সাদ হুসেন রিজভির গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছিল তারা। টিএলপি আগে থেকেই সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ২০ এপ্রিলের আগেই পাকিস্তানের ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে হবে। সেই দাবি মানেনি ইমরান সরকার। সেখান থেকেই শুরু প্রতিবাদের।

Advertisement

ফ্রান্সের ‘শার্লি এবদো’-তে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকাকে কেন্দ্র করেই তাদের প্রতিবাদ। ফ্রান্সের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক বন্ধ করতে চায় তারা। যদিও গত নভেম্বরেই ইমরান খানের ‘তহরিক-ই-ইনসাফ’ সরকার টিএলপির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ওই ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কারের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে। তখন জানা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে সরকার। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। সেই চুক্তির মেয়াদই শেষ হচ্ছে আগামী ২০ এপ্রিল। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল টিএলপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে। অবশেষে তাদের নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যে সব রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছিল তাকে খালি করা হয়েছে। তবে এখনও কিছু স্থানে প্রতিবাদীরা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ