সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ অক্টোবর থেকে রিলায়েন্স জিও-র ফোর-জি ট্যারিফ প্ল্যানগুলির দাম ১৫-২০ শতাংশ করে বেড়েছে। টেলিকম বাজারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে এয়ারটেল, ভোডাফোন বা আইডিয়ার মতো সংস্থাগুলি। কারণ, এবার তারাও সহজে ট্যারিফ বাড়ানোর কথা ভাবতে শুরু করতে পারবে। এমনটা বাস্তবে হলে মধ্যবিত্তর মাথায় হাত পড়তে বাধ্য। জিও-র প্রতিযোগী সংস্থাগুলি ডেটা প্যাক, ভয়েস প্ল্যানের দাম কমিয়েছিল বলেই অনেকে পুরনো কানেকশন ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে?
[এবার থেকে ফেসবুকে খবর পড়তে লাগবে টাকা]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ৬ মাস ধরে জিও-র দামের সঙ্গে সাযুজ্য রাখতে গিয়ে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে বেশ ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছে। এই সুযোগে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন জিও সম্প্রতি ১৪৯ টাকা/মাসের প্ল্যানের বরাদ্দ ডেটা দ্বিগুণ করলেও দামি প্যাকগুলির দাম অনেকটাই বাড়িয়েছে। যেমন ৩৯৯ টাকার প্ল্যানে এতদিন ৮৪ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এক জিবি করে ডেটা মিলত। কিন্তু এখন ওই প্যাকে ডেটার মেয়াদ কমিয়ে ৭০ দিন করা হয়েছে। ৮৪ দিনের পরিষেবাটি পেতে বর্তমানে জিও গ্রাহকদের খরচ করতে হবে ৪৫৯ টাকা। জিও-র সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে অনেকটাই দাম কমাতে বাধ্য হয়েছিল এয়ারটেল, আইডিয়া, ভোডাফোনের মতো সংস্থা। বিশেষত ফোর-জি ডেটার দাম তো তলানিতে এসে ঠেকেছিল। কিন্তু এবার জিও-ও দাম বাড়ানোয় প্রতিযোগী সংস্থাগুলির মাশুল বৃদ্ধিতে আর তেমন কোনও বাধা রইল না।
জিও-র আরও দামি প্যাকগুলি, যেমন ১৯৯৯ টাকা ও ৪৯৯৯ টাকার প্ল্যানগুলির মেয়াদ বেড়েছে। তবে জিও-র ১৪০ মিলিয়ন গ্রাহকের মধ্যে ওই প্যাকগুলি কেনেন, এমন গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম। ১৯৯৯ টাকার প্ল্যানের মেয়াদ এখন ১২০ দিন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ মাস। ২০১ দিনের ভ্যালিডিটি থেকে বেড়ে ৪৯৯৯ টাকার প্ল্যানের মেয়াদ হয়েছে এক বছর। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যভাগে পৌঁছানোর আগে জিও আরও ৪২ মিলিয়ন গ্রাহককে তাদের নেটওয়ার্কের অধীনে নিয়ে আসতে চাইছে। ২০১৮-র মার্চের মধ্যে ১৮১ মিলিয়ন ও ২০১৯-এর মার্চের মধ্যে ২০৫ মিলিয়ন গ্রাহককে জিও-র সঙ্গে জুড়তে চান আম্বানি। জিওফোন ও নিত্যনতুন স্মার্টফোনের সঙ্গে নতুন অফার দিয়ে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে চায় জিও।