সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রোবট চাই না, চাকর চাই। রোবটমুক্ত বাংলা চাই!’… সম্প্রতি সত্যজিত রায়ের কাহিনি অবলম্বনে ‘অনুকূল’ শর্টফিল্মে এমনই সংলাপ শোনা গিয়েছিল। না, বাংলায় রোবট ভবিষ্যতে দেখা যাবে কি না তা এখনও ভাবনা-চিন্তার স্তরেও আসেনি। কিন্তু বহির্বিশ্বে রোবটের আধিক্য বেড়েই চলেছে। চিন, জাপানের মতো উন্নত দেশগুলিতে রোবট এখন নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। এমনকী প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের এক রেস্তরাঁতেও বেয়ারার ভূমিকায় দেখা মিলেছে রোবটের। এবার সব দেশকে পিছনে ফেলে দিলে সৌদি আরব। মধ্য প্রাচ্যের এই রাজতন্ত্র এবার এক যন্ত্রমানবকেই নাগরিকত্ব দেওয়ার পথে হাঁটল। সোফিয়া নামের ওই রোবটকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা দেশের জনসংযোগ কমিটি তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণাও করেছে। সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি সোফিয়া। ঐতিহাসিক ঘটনা তো বটেই। সরকারের সিদ্ধান্তে গৌরবান্বিত ওই রোবট আস্থা রক্ষার আশ্বাস দিয়েছে।
[জেলের অবস্থা শোচনীয় তাই দেশে ফিরব না, মালিয়ার আজব সাফাই]
সৌদি আরবের এই ঘোষণাকে উদার ইসলামপন্থীর সূচনা আখ্যা দিচ্ছেন বিদগ্ধজনরা। এই মুহূর্তে সোফিয়া রাজধানী রিয়াধে আযোজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট সামিট-এ বক্তব্য রাখার জন্য অংশগ্রহণ করেছে। দেশের আধুনিকিকরণের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ টানতে এই সামিট-এর আয়োজন। সেই সম্মেলনেই সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন জানিয়েছেন, দেশের উন্নয়নের খাতিরেই উদারপন্থী নীতিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। রোবট সোফিয়াকে এই কাজের জন্য ব্যবহার করছে সরকার। হংকংয়ের হ্যানসেন রোবোটিক্সের তৈরি এই রোবট এখন সৌদি সরকারের নয়নের মণি। হুবহু মানুষের মতো রকমসকম সোফিয়ার। মানুষের ভাবভঙ্গি বুঝে তাঁদের সঙ্গে মানুষের মতোই আচরণে সিদ্ধহস্ত সোফিয়া। মানুষের মতোই আলাদা-আলাদা অনুভূতি প্রোগ্রাম করা আছে ওই রোবটের মধ্যে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছে সোফিয়া। জানিয়েছে, মানুষের মূল্যবোধ বুঝে আরও অনুভূতিশীল হওয়ার চেষ্টা করবে সে।