সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও খেয়াল করেছেন, তিনটে জিনিস জড়িয়ে থাকে একটা গয়নার সঙ্গে? কল্পনার স্বপ্নবিলাস, নিজস্ব একটা পরিচিতি এবং অবশ্যই স্টাইল স্টেটমেন্ট।
আসলে, যখনই কেউ গয়না পরেন, তিনি সেটা বেছে নেন তাঁর কল্পনার স্বপ্নবিলাসের জায়গা থেকে। নিজেকে নিয়ে একটা ধারণা থাকে তাঁর যা খুব সযত্নে লালিত হয়ে চলে কল্পনায়, স্বপ্নবিলাসে। সেই জায়গাটাকেই আরও সুন্দর করে তোলার জন্য গয়না বেছে নেওয়া!
দ্বিতীয়ত, সব গয়নাই গায়ে ওঠার পর একটা পরিচিতি পায়। যিনি পরছেন, তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সেই পরিচিতি। লক্ষ্য করলে তাই দেখবেন, একই গয়না পরলেও একেকজনকে আলাদা আলাদা দেখতে লাগে।
শেষেরটা স্টাইল স্টেটমেন্ট। ওটার উপরে ভর করেই শুরু হয় গয়না বেছে নেওয়া থেকে পরার পালা। যিনি যেমন গয়না পরছেন, সেই মতো তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি হয়ে যায়।
এই তিনটে ব্যাপারকে মাথায় রেখে এবার গয়নার জগৎকে চমকে দিল সিক্রেট উডস নামে এক সংস্থা। তাদের তৈরি আংটি এই মুহূর্তে রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে দুনিয়ায়। এমনকী, হিরের আংটি ফেলে বাগদানের জন্য কেনা হচ্ছে সিক্রেট উডস-এর আংটি।
কেন? আংটিগুলো তো তৈরি হয়েছে কাঠ দিয়ে। তার পর তা সেজে উঠেছে মোম আর জুয়েলারি রেজিনে। তাহলে হিরের মতন অভিজাত রত্নকে পিছনে ফেলে কেন এই আংটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে এত মাতামাতি?
কেন না, এই আংটিগুলো হাতে তৈরি। সযত্নে, মূল্যবান কাঠ কেটে, তা পালিশ করে বানানো হয়েছে একেকটা আংটি। তার পর, যেমনটা ছবিতে দেখছেন, উপরের অংশটুকু তৈরি করা হয়েছে মোম আর জুয়েলারি রেজিন দিয়ে। সেটাও কিন্তু বিশুদ্ধ হস্তশিল্প। কোনও রকম যন্ত্রের ছোঁওয়া লাগেনি আংটিদের গায়ে।
তার সঙ্গেই একেকটা আংটির মধ্যে বন্দি হয়েছে একেকটা কল্পনাবিলাসের দুনিয়া। কোনওটায় ধরা দিয়েছে জলের তলার জগৎ, তো কোনওটায় মেঘের! কোনওটা পেয়েছে ধোঁওয়া-ওঠা, গোপন দ্বীপপুঞ্জের পরিচিতি, কোনওটায় বা মায়াশহরের স্কাইলাইন। চোখ রাখুন ছবিগুলোয়, মুগ্ধ না হোক, বিস্মিত আপনাকে হতেই হবে।
কিন্তু শুধু এটুকুই নয়। এই প্রত্যেকটা আংটি মাত্র একটাই তৈরি হয়েছে ভ্যানকুভারের এই সংস্থায়। মানে, যে আংটি আপনার আঙুলসই হল, সেটা আপনার পরিচিতি হয়েই থাকল। পৃথিবীর অন্য কারও কাছে সেটার মতো দেখতে কোনও আংটি থাকবে না।
সেই জন্যই হিরের আংটিকে দুয়ো দিয়েছে সিক্রেট উডস-এর আংটিরা! কে না চান, তাঁর মনের মানুষটির হাতে এমন একটা জিনিস পরিয়ে দিতে যা কেবল তাঁর আর আপনার প্রেমের প্রতীক হয়েই থাকবে! একেবারে একান্ত ভাবেই!
তাছাড়া, হাতের মুঠোয় না-ই বা ধরা দিল বিশ্ব; আঙুলের ডগায় স্বপ্নজগত থাকাটাই বা কম কী!