BREAKING NEWS

১৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  রবিবার ২৮ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

যৌনতৃপ্তিতে সঙ্গী রোবট, ক্রমশ কি অবলুপ্তির পথে জাপানিরা?

Published by: Saroj Darbar |    Posted: July 25, 2018 8:14 pm|    Updated: July 25, 2018 8:14 pm

This is why Japanese people turning into ‘endangered species’

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্কে ভয়। যৌনতায় নয়। শারীরিক চাহিদা মেটাতে যৌনতার প্রয়োজন আছে। তবে তার জন্য বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গীর দরকার নেই। কারণ চাহিদা পূরণ করতে হাজির সেক্স ডল বা রোবটরা। রোবট সঙ্গী এমনভাবে জাপানিদের রাতের বিছানা দখল করেছে যে, জন্মের হার কমেছে মারাত্মকভাবে। কিছুদিনের মধ্যে জাপানিরা বিলুপ্ত প্রজাতিতে পরিণত হতে পারে বলেও আশঙ্কা জাগছে।

যৌন আকাঙ্খার বশে কী কী ভাবনা খেলা করে মনের গভীরে? ]

কমনীয় অঙ্গে কৃত্রিম লাবণ্য ঝরে পড়ছে। যৌন ফ্যান্টাসি পূরণের সবরকম উপকরণ মজুত। অথচ মানুষ হলে যে ঝুটঝামেলা পোহাতে হয়, তার বালাই নেই। সুতরাং কে আর সেধে চাপ নিতে চায়! বরং চাপমুক্তিতে জাপানিরা একান্ত মুহূর্তে কাছে টেনে নিচ্ছে এই সেক্সি রোবটদেরই। সেক্স রোবট প্রস্তুকারক সংস্থা ‘ডাচ ওয়াইভস’ তথ্য দিয়ে জানাচ্ছে যৌনচাহিদা মেটানোর যন্ত্রের বিক্রি বেড়েছে মারাত্মক হারে। প্রায় হাজার দুয়েক যন্ত্র বিক্রি হয়েছে। পাল্লা দিয়ে কমেছে জন্মের হার। ২০১৭-এর পরিসংখ্যান জানাচ্ছে জাপানে জন্ম দশ লক্ষেরও নিচে। অন্যদিকে মৃত্যু ১২ লক্ষের কাছাকাছি। বোঝাই যাচ্ছে জন্ম-মত্যুর স্বাভাবিক ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বছরে বছরে তা বাড়ছে বই কমছে না। খোঁজ নিতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেন, সম্পর্ক বা বিবাহ এই জাতীয় বিষয় থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন জাপানিরা। তাহলে কি যৌনতাতেও ভাটা পড়েছে? বিভিন্ন সেক্স টয় বিক্রি করা সংস্থাগুলির পরিসংখ্যান বলছে, একদমই নয়। যৌনতার চাহিদা আগের মতোই আছে। কিন্তু যৌনসঙ্গী বদলেছে। রোবটেই মিলছে তৃপ্তি। তার উপর ঝামেলা নেই। ফলে মানুষে-মানুষে যৌনতার হার মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছে। তাতেই কমেছে জন্মের হার। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আর কটাদিন পরে জাপানিদের না বিলুপ্ত প্রজাতি বলতে হয়, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

কন্ডোম না পিল? উদ্দাম যৌনতার তাল ঠিক রাখতে ভরসা করবেন কীসের উপর? ]

ঝুটঝামেলাহীন এই সেক্স রোবটগুলি অবশ্য সামাজিক বিকৃতিরও জন্ম দিচ্ছে। যেমন বেশ কিছু রোবট তৈরি করা হচ্ছে নাবালিকাদের মতো করে। যা শিশুধর্ষণকেই পরোক্ষে ইন্ধন দিচ্ছে। আবার কোনও কোনও সেক্স রোবটকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি’। তার মানে পরিবারের একাধিক ব্যক্তি সেটি ব্যবহার করতে পারেন। মানুষ সঙ্গীর ক্ষেত্রে এই যৌন ব্যবহারে সামাজিক বাধা আছে। কিন্তু রোবট তো সমাজ মানে না। তবে প্রকারন্তরে তা মানুষের মধ্যে বহুগামিতা কিংবা এক নারীকে বহুজনের যৌন চাহিদা পূরণে ব্যবহারের মতো কাজে ইন্ধন জোগাচ্ছে। অর্থাৎ মনুষ্য সমাজে যা গর্হিত অপরাধ তা রোবটের সঙ্গে করলে কারওর কিছু বলার থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই তাই সেক্স ডলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি উঠেছে। সব মিলিয়ে বিছানার রোবট সঙ্গে যে জাপানিদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে