Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিনভর বাণিজ্যিক কলে তিতিবিরক্ত? গ্রাহকদের জন্য নয়া আইন আনছে ট্রাই

হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন গ্রাহকরা।

TRAI to rein commercial call to curb harassment
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 20, 2018 2:26 pm
  • Updated:July 19, 2019 12:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইল যে কতটা কাজের জিনিস, তা আর নতুন বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন প্রায় সকলের হাতেই স্মাটফোন। কিন্তু, সেই সাধের মোবাইল ফোনটিও চরম বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে, যখন ওপাশ থেকে নানা অফারের কথা জানিয়ে ফোন করেন টেলি কলাররা। অবাঞ্চিত বাণিজ্যিক কল থেকে গ্রাহকদের মুক্তি নিতে আরও কড়া আইন আনার সিদ্ধান্ত নিল টেলিকম রেগুলেটারি অথরিটি বা ট্রাই। নয়া আইনে কোন দিনে, এমনকী, কোন সময়ে বাণিজ্যিক কল বা এসএসএম করা যাবে, তা ঠিক করবেন গ্রাহকরাই। চাইলে বাণিজ্যিক বা বিজ্ঞাপনী ফোন বা এসএসএমের অনুমতিও প্রত্যাহার করে নেওয়া যাবে।

[ কন্ডোম না পিল? উদ্দাম যৌনতার তাল ঠিক রাখতে ভরসা করবেন কীসের উপর?]

Advertisement

মোবাইলে যেমন প্রয়োজনী ফোনও আসে, তেমনি আবার বিজ্ঞাপনী ফোনেরও বিরাম নেই। গ্রাহকদের অজান্তেই ডেটাবেস থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। সময়ে-অসময়ে সেই নম্বরে ফোন করে বিভিন্ন অফারের ফিরিস্তি শোনান টেলিকলাররা। বিরক্তি লাগলেও, কিছু করার থাকে না। কখন কখনও টেলি কলারদের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করা থাকে, ফোনে সেই রেকর্ড বাজানো হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মোবাইল ব্যবহারকারীদের সাইলেন্ট ফোন করেন টেলিকলাররা। অচেনা নম্বর দেখে পালটা ফোন করে বেকুব বনে যান গ্রাহকরা। টাকাও কেটে নেওয়া হয়। গ্রাহকদের একের এক অভিযোগে এবার নড়েচ়ড়ে বসল টেলিকম অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাই। বাণিজ্যিক কল ও এসএমএস নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া আইন আসছে।

Advertisement

নয়া আইনে কী সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা? এই আইন চালু হওয়ার একমাসের মধ্যে গ্রাহকরাই ঠিক করতে পারবেন, সপ্তাহে কোন দিনে, এমনকী কোন সময়ে বাণিজ্যিক কল বা এসএমএস করতে পারবে বিপণন বা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। ১৯০৯ নম্বর ফোন এসএমএস করে নিজেদের পছন্দ জানিয়ে দিতে পারবেন তাঁরা। আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না। চাইলে, আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্যিক কথোপকথন ব্লকও করে দেওয়া যাবে। ট্রাইয়ের স্পষ্ট নির্দেশ, নয়া আইন চালু হওয়ার পর প্রতিটি সংস্থাকে তাদের সিস্টেম বদলে ফেলতে হবে। গ্রাহকদের দাবি মেনে ফোন বা এসএমএস করতে হবে। আর এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ১২০ দিনে। এখানেই শেষ নয়। রেকর্ডেড কলের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় থাকলেও, রেজিস্টার্ড টেকি কলারদের ব্ল্যাংক কল বা সাইলেন্ট মোডে ফোন করা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাই। মাসে ৫ লক্ষ টাকা নয়, আইন না মানলে টেলিকম অপারেটরদের ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

[ মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর, ৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন সোনার দাম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ