সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী আছড়ে পড়ল শহরে। চোখের নিমেষে সমস্ত কিছু তোলপাড় করে দিয়ে গেল। চেনা ছকের জীবনের তালটাও যেন কেটে গেল দমকা হাওয়ায়। রেশ আজও চলছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বৃষ্টি এখনও বাকি। এমন দিনে ঘরে কেন বসে থাকবেন? মাসের প্রথমেই ছোট্ট একটা ছুটি নিয়েই নিন। হারিয়ে যান মানুষের তৈরি প্রকৃতির মাঝে। বেড়িয়ে আসুন চেচুরিয়া ইকো পার্কে।
বিষ্ণুপুর থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চেচুরিয়া। বনবিভাগের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ইকো পার্ক। চারদিকে সবুজ গাছের সারি। মাঝে বিশাল বড় ঝিল। শহর থেকে সামান্য দূরেই প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা। অনেকেই ছোট্ট পিকনিক সেরে আসেন। কেউ কেউ আবার দুই-এক রাত থেকেও যান এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে। চাইলে কাছাকাছি বিষ্ণুপুর থেকেও ঘুরে আসতে পারেন একবার।
[এখানে মেঘ গাভির মতো চরে, মন ভাল করতে গন্তব্য নিরিবিলি দাওয়াইপানি]
কখন যাবেন?
মানুষের তৈরি এই সবুজের মেলার সাক্ষী হতে বছরের যে কোনও সময় যাওয়া যায়। প্রত্যেক ঋতুতে এর সৌন্দর্য নতুন রূপে ধরা দেয় পর্যটকদের কাছে।
কীভাবে যাবেন?
চেচুরিয়া যেতে হলে বিষ্ণুপুর হয়ে যাওয়াই ভাল। নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই, নাহলে বিষ্ণুপুর থেকেই ট্রেকার ও অটো পাওয়া যায়।
[অরণ্যের দরজা যেখানে খোলা, প্রকৃতির মাঝে হারানোর ঠিকানা দুয়ারসিনি]
কোথায় থাকবেন?
সাধারণত পিকনিক কিংবা ক্ষণিকের সময় কাটাতেই পর্যটকরা চেচুরিয়া যান। তবে শহরের বাইরে ক’টা দিন থাকতে চাইলে ফরেস্ট বাংলোটি ভাড়া নিতে পারেন। স্থানীয়দের বললে তাঁরাই খাবারের বন্দোবস্ত করে দেন। বিস্তারিত জানতে হলে (0৩২৪৪) ২৫২১৮৯ নম্বরে বিষ্ণুপুরের পঞ্চায়েত সয়েল কনসারভেশন ডিএফও-তে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন।
[সবুজ পাহাড় আর চা-বাগানের ঘেরাটোপে যেন বন্দি মায়াময়ী মুন্নার]