মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখানে আকাশ পানে চাইলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। এখানে প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায়। রঙের মেলায় নেচে ওঠে প্রজাপতির দল। সবুজের এ রাজত্বে ঘুম ভাঙে পাখির কোলাহলে। শহর থেকে অনেক দূরে এই ঠিকানায় হারিয়ে যাওয়ার একটাই শর্ত। ইচ্ছে থাকা চাই। তাহলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ইচ্ছেগাঁওয়ে।
কালিম্পং থেকে ইচ্ছোগাঁও- দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। হাতে গোনা কয়েকটি ছোট্ট কাঠের বাড়ি। চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে রং বেরঙের ফুল, অর্কিড। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের আভায় সোনালি হয়ে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখর। আবার চোখের পলকেই পাহাড় ঢেকে যায় মেঘ-কুয়াশায়, খুব প্রিয় একটা মনখারাপ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। পাখিদের স্বর্গরাজ্য ইচ্ছেগাঁও। ব্ল্যাক থ্রোটেড টিট, গ্রিন ব্যাকড টিট, ফ্লাওয়ার পেকার, ফর্কটেল, ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাভ থেকে লাফিং থ্রাশ- নানান প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায় এখানে। পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে হয় এলাচের চাষ।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরেই রয়েছে সিলারিগাঁও। চাইলে বুনোপথে পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন সেখানে। সে পথেও ঘন পাইন আর প্রচুর অর্কিড আপনাকে সঙ্গ দেবে। এছাড়া গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসা যায় রিশপ থেকেও।
[ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে ঘুরে আসুন মানুষের তৈরি এই স্বর্গরাজ্যে]
কীভাবে যাবেন?
শেয়ার জিপে এন জে পি থেকে কালিম্পং চলে আসুন। দূরত্ব প্রায় ৮০ কিমি। সেখান থেকে ইচ্ছেগাঁও মাত্র ১৫ কিমি। গাড়িভাড়া প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা।
কোথায় থাকবেন?
- মুখিয়া হোম স্টে (ফোন: ৮৯৭২৪৭০২২০)। থাকা খাওয়া নিয়ে খরচ জনপ্রতি ৮০০ টাকা।
- খাওয়াস হোম স্টে (ফোন: ৭৩৬৩৮৪০৩২০)। থাকা খাওয়া নিয়ে এখানেও খরচ জনপ্রতি ৮০০ টাকা।
- লামা শেরপা হোম স্টে (ফোন: ৯৮৩০৩২৯৫৯১)। থাকা-খাওয়া নিয়ে দৈনিক খরচ জনপ্রতি ৯০০ টাকা।
কখন যাবেন?
অক্টোবর থেকে মার্চ-এপ্রিল মাসই সেরা সময় প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের সাক্ষী হওয়ার।
ছবি: সুপ্রতিম মণ্ডল
[গরমের ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন চাপড়ামারি-নন্দী হিলস]