Advertisement
Advertisement

পর্যটক ফেরাতে ‘কমলালেবুর স্বর্গে’ হোম-স্টে উৎসব

বুকিংয়ে পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়।

Home stay tourism to increase in Sitong
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 15, 2019 9:32 pm
  • Updated:January 15, 2019 9:32 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: একসময় কমলালেবুর স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল সিটং। রাস্তার দু’পাশে ঝাঁকড়া গাছে ধরে থাকতে কমলা। দার্জিলিং লেবুর সিংহভাগ এই সিটং থেকেই যেত। তার টানেই ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। হাতের নাগালে মিষ্টি লেবু। সম্প্রতি কমেছে পাহাড়ের সোনার ফসলের উৎপাদন। ফলে কিছুটা হলেও পর্যটকদের আকর্ষণ সিটং থেকে সরে গিয়েছে। হোম-স্টে থাকলেও এখন সেখানে পর্যটকদের ভিড় কমেছে অনেকটাই। সিটংকে ফের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে দিতে হোম-স্টেকে হাতিয়ার করল জিটিএ। ২৮ জানুয়ারি থেকে এখানেই শুরু হতে চলেছে হোম-স্টে উৎসব।

পাহাড়ের হোম-স্টেকে আরও বেশি করে জনপ্রিয় এবং পর্যটন মানচিত্রে তুলে আনতে শুরু হচ্ছে এই উৎসব। চলবে ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবের জন্য দার্জিলিংয়ের ছবির মতো গ্রাম সিটংকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের টানতে উৎসবের তিনদিন থাকবে বিভিন্ন চমক। বুকিংয়ে ছাড় পাওয়া যাবে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কমপ্লিমেন্টারি সার্ভিসও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। জিটিএ সভাপতি অমর সিং রাই এই উৎসবের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী।

Advertisement

[ঘরের কাছে আরশিনগর, খোঁজ দেবে বর্ধমানের পর্যটন মেলা]

দার্জিলিং জেলা প্রশাসন, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং হোম-স্টে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এই উৎসবকে ঘিরে সিটংয়ের ছোট জনপদে সাজো সাজো রব। এই মুহূর্তে সিটংয়ে ১০০টি হোমস্টে আছে। যার মধ্যে অর্ধেকই সরকারি নথিভুক্ত নয়। সেগুলোকেও সরকারিভাবে একছাতার তলায় এনে আরও বেশি এক্সপোজার তৈরি করে দেওয়াই উৎসবের উদ্দেশ্য। এই সমস্ত অনুষ্ঠানের একটা বিশেষ আকর্ষণ আছে পর্যটকদের কাছে। হোমস্টেগুলোতে বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করা হয়। খেত থেকে তুলে টাটকা রান্না করে পর্যটকদের পরিবেশন করেন মালিকরা। পাশাপাশি বিনোদন এবং অত্যাধুনিক সুবিধাও চাইলেও দেওয়া হবে। এই উৎসবের অন্যতম উপদেষ্টা দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনদিন পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন রকম আয়োজন করা হচ্ছে। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, মাউন্টেন বাইকিং, নাইট ট্রেকিং আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। পাশাপাশি পর্যটকদের এই তিনদিন বিনামূল্যে সাইটসিইং দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। কাছেই আড়াইশো বছরের পুরনো গির্জা, স্যালামান্ডার লেক, চা বাগান, ঘুরিয়ে দেখানো হবে। আগাম বুকিং এর উপর পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা আছে এই তিন দিন। দার্জিলিং, লাভা, লোলেগাঁও, কালিম্পং, কার্শিয়াংকে বাদ দিয়ে ছোট ছোট এলাকাগুলোতে কীভাবে পর্যটন উন্নয়নের সম্ভাবনা আছে সেটিও তুলে ধরা পর্যটন উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য।

[এবার বন্ধ চোখেও অনুভব করা যাবে ভিক্টোরিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement