সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: পর্যটকদের জন্য সুখবর। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে যাঁরা ভারত নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘুরতে আসছেন, তাঁদের জন্য বাড়তি বিনোদন নিয়ে আসছে ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা। এই মেলা শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। মূলত হোম স্টে এবং গ্রামীণ পর্যটনকে তুলে ধরতেই গত কয়েক বছর ধরে এই মেলা শুরু হচ্ছে। তবে এবার এই প্রথম মেলার জায়গা বদল করা হচ্ছে। এতদিন ভারত-নেপাল সীমান্তের শিলিগুড়ি লাগোয়া পানিট্যাঙ্কিতে মেলার আয়োজন করা হচ্ছিল। এবার মেলাটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাঁকরভিটায়।
সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন মেলা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা রাজ বসু। তিনি বলেন, নেপাল সীমান্তে সড়কপথে কাঁকরভিটাকে সমস্ত ধরণের পর্যটনের মূল প্রবেশ কেন্দ্র করে তুলতে চাইছে নেপাল-ভারত যৌথ পর্যটন মঞ্চ। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলবে বলে জানিয়েছেন মেলা কমিটির ডিরেক্টর নওরাজ প্রধান। মেলার উদ্বোধন করার কথা নেপালের এক নম্বর প্রভিন্সের মুখ্যমন্ত্রীর। পৃষ্ঠপোষকতা করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীও। কমলালেবু পর্যটন, ক্যাম্পিং, ট্রেকিং, র্যাফটিংকে নেপালের ওই এলাকায় আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ও আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে এই মেলাকে হাতিয়ার করছে পর্যটন সার্কিট।
[ আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় লম্বা ছুটির জের, বড়দিনের রেকর্ড ভাঙল দিঘা ]
মেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক রাজ বসু জানান, ২০১৩ সালে এই সীমান্তে হাতি-মানুষ সংঘাত বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের হাতে প্রচুর হাতির আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর খবর আসছিল। তা কমাতে এবং হাতিদের প্রতি মমত্ব তৈরি করতে এই পর্যটন উৎসব ও মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতের পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের মেচি নদীর দু’পারে ভারত ও নেপালের বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা বাড়িয়ে তোলাও ছিল উদ্দেশ্য। বিশেষ করে বসতি এলাকায় হাতির ঢুকে পড়লে হাতির পর সরাসরি আক্রমণ না করে তাদের প্রতি সহানুভূতি আদায়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে হাতির বিভিন্ন মডেল এবং ভিডিও দেখিয়ে মানসিকতা অনেকটাই কমানো গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। উত্তরোত্তর এই মেলার জনপ্রিয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এখন তো এই মেলার জন্যই অনেক পর্যটক এই সময় ভিড় জমায় নেপাল সীমান্তে।