সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয়রা ভ্রমণপ্রেমী। বিশেষ করে বাঙালিরা। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি পেতে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশে। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করার স্বাদ উপভোগ করতে দারুণ ভালবাসেন তাঁরা। আর ঘুরতে যাওয়া মানেই দরকার থাকার একটা আস্তানা। তাই সস্তার হোটেল অথবা হোমস্টের খোঁজ করেন অনেকেই। তা করতেই পারেন। কিন্তু দেশের এই তিন শহরের হোটেল বুক করার আগে একটু পড়াশোনা করে নেওয়া জরুরি। কারণ স্থানীয়দের বিশ্বাস আজও ওই সব হোটেলের আনাচে-কানাচে অশরীরীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
হোটেল স্যাভয়, মুসৌরি:
ব্রিটিশ আমলে ১৯০২ সালে তৈরি হয়েছিল এই হোটেল। ১৯১০ সালে এখানেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় লেডি গার্নেট ওর্মের। আর তারপর থেকেই নাকি হোটেলের করিডর এবং হলে অশরীরীর টের পেয়েছেন অনেকে। তাঁর অতৃপ্ত আত্মা নাকি এখনও সেখানে ঘুরে বেড়ায়। শুধু তাই নয়, এই হোটেলের কাহিনি নিজের লেখায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন সাহিত্যিক আগাথা ক্রিস্টি। ১৯২০ সালে লেখা ‘দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলস’ বইটি এই মৃত্যুরহস্য অবলম্বনেই লেখা। অনেকেই এখানে অলৌকিক কার্যকলাপ লক্ষ্য করেছেন। এমনকী ভারতীয় প্যারানর্মাল সোসাইটির সদস্যরাও কিছু অদ্ভুত শব্দ শুনেছেন এই হোটেলের মধ্যে।
হোটেল ফার্নহিলস প্যালেস, উটি:
১৮৪৪ সালে তৈরি এই হোটেলটি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল বলিউড ছবি ‘রাজ’ মুক্তি পাওয়ার পর। কারণ এখানেই ওই ছবির বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল। শোনা যায়, শুটিং চলাকালীনও অদ্ভুত এক রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। একদিন রাতে হঠাৎই নাকি বিকট কিছু শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর এবং আরও কয়েকজন নৃত্যশিল্পীর। শুনে মনে হচ্ছিল, তাঁদের উপরের ঘরের আসবাবপত্রগুলি টানাটানির আওয়াজ হচ্ছে। রিসেপশনে ফোন করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন ফোন লাইন ডেড। পরের দিন সকালে রিসেপশনিস্টকে গোটা ঘটনার কথা জানালে, তিনি বলেন সরোজ খানরা যে ঘরে ছিলেন, সেটিই হোটেলের সবচেয়ে উপরের তলা। তার উপর কোনও ঘর নেই। এমনও শোনা যায়, একাধিক অলৌকিক ঘটনা ঘটায় হোটেলটি একসময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
রামোজি ফিল্ম সিটির আশেপাশের হোটেল:
যাঁরা হায়দরাবাদের এই ফিল্ম সিটিতে গিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই হাড়হিম করা সব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। বিরাট এলাকাজুড়ে তৈরি রামোজি ফিল্ম সিটিতে যে অশরীরী আছে, তা অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু এ কথা অনেকেই জানেন না যে ওই ফিল্ম সিটির ভিতর এবং আশেপাশে যেসব হোটেল রয়েছে সেগুলিতেও নানা ঘটনা ঘটেছে। যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলেনি। কখনও দেখা গিয়েছে হোটেলের একটি ফাঁকা ঘরে খাবার থালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। আবার কখনও আয়নায় উর্দু ভাষায় ভয়ঙ্কর কিছু লেখা রয়েছে। যা দেখে গায়ে কাঁটা দিয়েছে হোটেল কর্মীদেরও। তাই এই সমস্ত হোটেল বুক করার আগে ভাবুন, আপনি ভ্রমণপ্রেমী নাকি রোমাঞ্চ!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.