Advertisement
Advertisement
Karnataka Tourism

ঢেউয়ের ঝাপটা, সাদা বালিয়াড়ি, শহরের কোলাহল ভুলে পুজোয় ঘুরে আসুন কর্ণাটকের এই সৈকতে

এই সৈকতে সারাদিন বসে থাকলেও একঘেয়ে লাগবে না।

Tourists may visit Muttom Sea Beach of Karnataka during Durga puja | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:October 2, 2021 7:49 pm
  • Updated:October 2, 2021 7:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, সমুদ্র যা নেয়, তা নাকি ফিরিয়ে দেয়। একথা কতটা যে সত্যি তা কর্ণাটকের ‘মুত্তম’ সৈকতে না গেলে জানাই যেত না। তখন সবে সকাল হচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে সূর্যদয় দেখতে দেখতে হঠাৎই চোখে পড়ল দূরে কী যেন একটা চকচক করছে। কৌতুহলী মন নিয়ে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম একটা কাঁচের শিশি আর তার মধ্য়ে গুটিয়ে থাকা একটি হলুদ হয়েও যাওয়া একটা কাগজ। চারিদিকে তাকালাম। আশেপাশ পুরো ফাঁকা। হাতে তুললাম। খুবই সচেতন ভাবে কাগজটা বের করলাম। কাগজে হরফ ঠিক বুঝতে পারলাম না। এ লেখা ইংরেজি তো নয়ই। কোন ভাষা তা বোঝা বড্ড কষ্টকর। তবুও মনে হল, এই চিঠিতে বোধহয় অপেক্ষার কথা লেখা…

এরকম ঘটনা সিনেমায় বহুবার দেখেছি। কিন্তু স্বচক্ষে দেখে একটু শিহড়িত হয়েছিলাম। হাতে শিশিটি নিয়ে সোজা রুমে চলে এলাম। কাউকেই বললাম না ঘটনাটি। সেই সকালটা আজও ভুলিনি। বরং বলা ভাল সেই গোটা সপ্তাহও আজও স্মৃতিতে স্পষ্ট। কারণ, ‘মুত্তম’ (Muttom Sea Beach) সৈকতের অদ্ভুত এক মায়ামাখা আবহ। সৈকতে বসে থাকলে, মনেই হয় এ এক অন্য বিশ্ব। যেখানে সৌন্দর্য, শান্তির সহাবস্থান।

Advertisement

Karnataka

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাহাড়ের মাঝেই সুইমিং পুল, পাশে খরস্রোতা নদী, পুজোয় পাড়ি দিতেই পারেন বিজনবাড়ি]

কর্ণাটকের ‘মুত্তম’ সৈকত তার নিস্তব্দতার জন্যই জনপ্রিয়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে একেবারে মনে আরাম দেয়। সৈকতে না আছে কোনও দোকান। না আছে নাগড়দোলা বা ঘোড়সওয়ারি। শুধুই সাদা বালিয়াড়ি আর সমুদ্রের ঢেউয়ের আওয়াজ। এখানে সকাল হওয়া আর বিকেল হওয়ার সময় চারিদিকে একটা রঙ ছড়িয়ে পড়ে। যা স্বচক্ষে না দেখলে বোঝাই যায় না। তবে সেই শিশিটা আজ আর নেই। বাড়ি ফিরে কোথায় যে রেখেছিলাম, আজ আর মনে পড়ে না। স্মৃতিটা তবে হারিয়ে যায়নি। 

karnataka

কীভাবে যাবেন– কন্যাকুমারী থেকে গাড়িতে মাত্র আড়াইঘণ্টার সফর। এই সফরটাও এনজয় করার মতো। গাড়ি ভাড়া করলে খরচ পড়বে সাড়ে ৩ হাজার মতো। একটু দরদাম করে নিন। বেশ কয়েকটি হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে এখানে। ঘরভাড়া মোটামুটি ১৩০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা প্রতিদিন। (খাবার খরচ বাদে)

কী কী দেখবেন- সমুদ্র সৈকতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকুন। কীভাবে দিন কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না। সৈকত থেকে দূরে একটা চার্চ রয়েছে। হেঁটেই ঘুরে আসতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন স্থানীয় মার্কেট। মন্দ লাগবে না। তবে সূর্যাস্ত মিস করবেন না।

নিতে ভুলবেন না– মাস্ক, স্য়ানিটাইজার, টর্চ, প্রয়োজনীও ওষুধ, আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড।

[আরও পড়ুন: কুয়াশা ঘেরা পাহাড়ি পথ, ধোঁয়া ওঠা মোমো, পুজো কাটান সিকিমের এই ছোট্ট গ্রামে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ