সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝকঝকে সিভি। যোগ্যতায় কোনও ঘাটতি নেই। অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। তা সত্ত্বেও বাতিল হয়ে যেতে পারে চাকরির আবেদন। কেন? নেপথ্যের কলকাঠি নাড়বে চাকুরিপ্রার্থীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। বেশিরভাগ সংস্থাই আবেদনকারীকে বুঝে নিতে চোখ রাখছে ফেসবুক, টুইটারের মতো ভারচুয়াল মিডিয়ায়। আর সেখানে বেচাল কিছু হলেই বাতিল হতে পারে চাকরি।
[ জাতীয় পুরস্কারের মহিমা! অক্ষয়ের ছবির প্রযোজক হতে চান শাহরুখ ]
এ অবশ্য নেহাতই কথার কথা নয়। ব্রিটেনে এই বিষয়ে রীতিমতো সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রতি পাঁচটি সংস্থার মধ্যে অন্তত একটি এই কারণে চাকুরিপ্রার্থীদের বাতিল করে। বিশেষত মাঝারি থেকে বড় সংস্থাগুলিই এই পদক্ষেপ নেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বা কমেন্টের ভিত্তিতেই বুঝে নেওয়া হয় সংস্থার পক্ষে সেই আবেদনকারী কতটা উপযোগী। তারপরই ঠিক করা হয়, সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে নিয়োগ করা হবে নাকি হবে না।
ঠিক কী কী কাজে নজর রাখা হয়? বা বা কী কী ধরনের কাজে কমে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা?
দেখা যাচ্ছে, খারাপ ভাষাব্যবহার প্রয়োগ বা ঔদ্ধত্যের প্রকাশ এই তালিকায় শীর্ষে। এই কারণে চাকরি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা অন্তত ৭৫ শতাংশ। মাদক ব্যবহারের কোনও সূত্র খুঁজে পেলে চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা ৭১ শতাংশ। বানান ভুল বা ব্যাকরণগত দোষের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ৫৬ শতাংশ। মাতাল অবস্থার ছবি থাকলে চাকরি যাওয়ার চান্স থাকে ৪৭ শতাংশ। রাজনৈতিক মতবাদ দেওয়ায় চাকরি হাতছাড়া যদি হয় ২৯ শতাংশ, তবে রেহাই নেই সেলফিরও। ঘনঘন ছবি পোস্ট বা সেলফি থাকাকে ভ্যানিটি বা অহংয়ের পরিচয় হিসেবে ধরা হয়। এবং সে কারণে চাকরি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ২৬ শতাংশ।
[ কুলভূষণ প্রসঙ্গে বলিউডের খান হিরোরা চুপ কেন, তোপ অভিজিতের ]
তা কোন কোন ভারচুয়াল মিডিয়ায় নজরদারি করেন কর্তৃপক্ষরা? জানা যাচ্ছে, সবার আগে থাকে লিঙ্কড ইন (৪৮%)। যেহেতু এটাই প্রফেশনালদের জায়গা হিসেবে ধরা হয়। এরপরই কিন্তু আছে ফেসবুক (৪৬%)। ব্যাপকভাবে দেখা হয়, কী কী পোস্ট হচ্ছে ফেসবুকে। এছাড়া চোখ রাখা হয় টুইটার (২৮%) ও ইনস্টাগ্রামেও (১৫%)।
সুতরাং সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও কাজ করার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন।
[ ‘পারলে মহরমে অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করে দেখান মুখ্যমন্ত্রী’ ]