Advertisement
Advertisement

Breaking News

genetically-modified mosquitoes

নিজেদের গবেষণাগারে তৈরি মশা ছাড়বে মার্কিন সংস্থা! কারণ জানলে চমকে যাবেন

এই মশার শরীরে রয়েছে বিশেষ ধরনের প্রোটিন।

A US based company is planning to release billions of genetically-modified mosquitoes | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 10, 2022 5:22 pm
  • Updated:April 10, 2022 8:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা! মশা (Mosquito) দিয়েই মশার বংশকে শায়েস্তা করার ব্যবস্থা করল একটি মার্কিন (USA) গবেষণা সংস্থা। গবেষণাগারে জিন বদলে ক্যালিফোর্নিয়ার (California) বনাঞ্চলে কোটি কোটি ‘ভাল’ মশা ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এর ফলেই নাকি শায়েস্তা হবে মারণ রোগ বাহক এডিস ইজিপ্টি (Aedes Aegypti) মশার দল। কিন্তু ঠিক কীভাবে তা সম্ভব?

সে কথা বলার আগে জেনে নেওয়া যাক, এই এডিস মশা কতখানি ভয়ংকর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই মশাই জিকা (Zika), চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) হলুদ জ্বর (Yellow Fever) ইত্যাদি মারণ রোগের কারণ। যে রোগগুলিতে গোটা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। কীভাবে এর সুরাহা করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে। সেই সমস্যার সমাধানেই এবার অভিনব উপায় বের করল মার্কিন গবেষণা সংস্থাটি।

Advertisement

[আরও পডুন: পুলিশের তাড়া খেয়ে চলন্ত ট্রাক থেকে গরু ছুঁড়ে ফেলে পালানোর চেষ্টা পাচারকারীদের, ভিডিও ভাইরাল]

সংস্থাটি তুলনামূলক উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে জিন বদল করে যে মশা ছাড়বে, তার ফলেই নাকি কমে যাবে এডিস মশার সংখ্যা। জানা গিয়েছে, ওক্সিটেক (Oxitec) নামের এই সংস্থাটি বিশেষ উপায়ে গবেষণাগারে যে মশার জন্ম দিয়েছে, তাদের শরীরে রয়েছে বিশেষ প্রোটিন, যার ফলে তারা কামড়াতে অক্ষম। মূল পরিকল্পনা হল, এই মশাকে ক্যালিফোর্নিয়ায় বনাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া। এতে ‘ভিলেন’ এডিস মশা গবেষণাগারের মশার সংস্পর্শে আসবে। এবার যে বংশবৃদ্ধি হবে সেই মশা মারণ চরিত্র হারাবে বলেই দাবি মার্কিন গবেষণা সংস্থার। ফলে মশাবাহিত রোগের পরিমাণ কমবে।

Advertisement

[আরও পডুন: মোদির পছন্দের খিচুড়ি রাঁধলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোস্ট]

জানা গিয়েছে, গত মাসেই মার্কিন গবেষণা সংস্থার এই অভিনব প্রজেক্টিকে ছাড়পত্র দিয়েছে ইউএস এনাভায়ারমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি (EPA)। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ সেরেই সংস্থাটি কথা মতো কাজে নামতে চাইছে। যদিও হালকা সমস্যা দেখা দিয়েছে এই প্রজেক্টে নিয়ে। আসলে এলাকার বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের মনে শংসয়, শেষকালে গবেষণাগারে তৈরি মশায় হিতে বিপরীত হবে না তো! কোভিডের কথা মনে পড়ছে সকলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ