সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’-র গল্প অনেকেরই মনে আছে হয়তো। কীভাবে ভিনগ্রহ থেকে ‘এলিয়েন’ থুড়ি একটি ‘অ্যাং’ এসে ছাপোষা বাঙালি বঙ্কুবিহারী দত্তর জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছিল, তা নিশ্চয়ই আপনি ভোলেননি। সত্যজিত রায়ের সেই কল্পনা কি নেহাতই কল্পনা, নাকি তার মধ্যে বাস্তবতা আছে, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলেছে। অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, পৃথিবী তথা এই ব্রহ্মাণ্ডের বাইরেও প্রাণের অস্বস্তি আছে, আবার কোনও কোনও গবেষক মনে করেন পৃথিবীই প্রাণের একমাত্র উৎস। এরই মধ্যে আশ্চর্য দাবি করলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিজ্ঞানী। তিনি বললেন, ভিনগ্রহে প্রাণী শুধু আছে তাই নয়, তাঁরা হয়তো এতদিনে পৃথিবীতে ঘুরেও গিয়েছে। আমরা শুধু দেখতে পাইনি।
নাসার একটি গবেষণা কেন্দ্রে মহাকাশ গবেষণা করেন সিলভানো পি কলোম্বানো। তিনি জানিয়েছেন, মানুষ হয়তো টেরই পাচ্ছে না ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এসে বাসা বেঁধেছে। কেবল তাদের অদ্ভুত আকৃতি ও চেহারার কারণে দেখা যাচ্ছে না। কলোম্বানোর দাবি, হতেই পারে অন্য গ্রহের বাসিন্দারা কার্বন দিয়ে তৈরি নয়। তারা এমন কোনও উপাদানে তৈরি যে মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না। কলোম্বানোর আরও দাবি, “আমাদের আর হাত ঘুটিয়ে বসে থাকার কোনও যুক্তি নেই। আমাদের উচিত অন্য কোনও পদ্ধতিতে সন্ধান করা। মানুষের প্রযুক্তিগত বিদ্যা যে খুব পুরনো নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিতে কলোম্বানো জানান, মানব ইতিহাসে প্রযুক্তির উন্নতির সময়সীমা ১০ হাজার বছর। আর বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ইতিহাস মাত্র ৫০০ বছরের।”
কেবল কলোম্বানোই নন, বিজ্ঞানী ম্যাগি আদ্রেইন পোককও জানিয়েছেন, হয়তো অন্য গ্রহের প্রাণীরা এমন অন্য রকম দেখতে, যে মানুষ তাদের হদিশই পাচ্ছে না। এর আগে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংও জানিয়েছিলেন, অন্য গ্রহের প্রাণীরা অন্যরকম দেখতে হতেই পারে। এমনকী তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের মতোও হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.