Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুঁচকেগুলোকে সঙ্গে না নেওয়া পর্যন্ত গণনার জন্য পা বাড়াতে পারেনি ডায়না, ফুলমতিরা

এদিকে দিনভর পিলখানায় বেজার মুখে দাঁড়িয়ে মেঘলাল

All India synchronized elephant census commences in Mahananda Wildlife Sanctuary.
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 27, 2017 8:00 am
  • Updated:December 26, 2019 4:42 pm

ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: সকাল থেকে ফুলমতি, ডায়না, চম্পা, কিরণরাজ, ভোলানাথদের দারুণ ব্যস্ততা। দল বেধে সব গণনায় চলেছে। কিন্তু ঘরের বাচ্চাগুলোকে কেউ ধর্তব্যেই আনছে না। এমনটা অবশ্য প্রতিবারই করা হয়। তাই এ বছর ওরাও নাছোড়। কী আর করেন বনকর্তারা! অগত্যা সঙ্গে নিতে হল পুঁচকে হাতির দলকেও।

সোমবার সকাল থেকে উত্তরের জঙ্গলে শুরু হয়েছে হাতিশুমারি। তিনদিনের এই সুমারিতে থাকছে ৪৫টি কুনকি হাতি। সঙ্গে ভিড়েছে পিলখানায় আশ্রিত ১২টি ছোট হাতি। সুমারিতে কীভাবে কী কাজ করতে হয় কিছুই জানে না। তবু যাওয়া চাই। বনাধিকারিকরা বলছেন, এতে কুনকিগুলোর আরও জ্বালা বেড়েছে। কখন কোনটা গর্তে পড়ে বিপাক বাড়ায়, ভরসা তো নেই। তাই কাজের সঙ্গে সমানতালে নজর রাখতে হচ্ছে বয়সে কাঁচা একডজন হাতির দিকেও। শোনা যাচ্ছে, এখনও অবধি গাছের পাতা খেয়ে, নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করেই সুমারি-সফর কাটাচ্ছে তারা।

ele

এদিকে মেঘলালের মনটা এবার ভীষণ খারাপ। পিলখানার গণ্ডিতেই ঘুরঘুর করছে। আর মাঝেমধ্যে হাঁক ছাড়ছে। প্রত্যেক বছর সে তো মুখ্য ভূমিকায় থাকত। কিন্তু এবার যে সে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পেনশন, পিএফ দিয়ে একেবারে বসিয়ে দিয়েছেন বনকর্তারা। মেঘলালের মাহুতের কথায়, ফুলমতি, চম্পাদের সাজগোজ করে হাতি সুমারিতে বেড়োতে দেখে চোখের কোণ দিয়ে নাকি জলও গড়িয়েছে তার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ