সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে স্মার্টফোন। আর তাতেই মুখ গুঁজে আট থেকে আশি। বাসে হোক কিংবা ট্রেনে সব জায়গায় দেখা যায় এই একই দৃশ্য। কিন্তু সেটাই যদি ১৮৬০ সালে দেখা যেত! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি গ্লাসগোর বাসিন্দা পিটার রাসেলের। তাঁর মতে, ওই সময় আঁকা একটি তৈলচিত্র দেখলে এমনটাই বোঝা যাচ্ছে যে, তখনকার দিনেও ব্যবহৃত হত স্মার্টফোন। তবে পরবর্তীকালে তাঁর ভুল ভাঙে। ওই মহিলার হাতে যে বই রয়েছে, সেটা বুঝতে পারেন। স্বীকার করে নেন নিজের ভুল।
সম্প্রতি মিউনিখের পিনাকোথেক মিউজিয়ামে রাখা একটি তৈলচিত্রে নজরে আসে অবসরপ্রাপ্ত ওই অফিসারের। সেখানেই তিনি বিষয়টি আবিষ্কার করেন। পরে ছবিটি টুইটও করে জানান সে কথা। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে মুহূর্তে ভাইরালও হয় তা। জানা গিয়েছে, ১৮৬০ সালে তৈলচিত্রটি এঁকেছেন অস্ট্রিয়ান শিল্পী ফার্দিনান্দ জর্জ ওয়াল্ডমুলার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাতে মোবাইলের মতো কিছু একটা ধরেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছেন এক মহিলা। কিন্তু এই বিষয়টি এতদিন ধরে কারও নজরে পড়েনি। শেষপর্যন্ত ১৫৭ বছর পর সেটি নজরে আসে পিটারের। তাঁর মতে, মহিলার হাতে কোনও বই নয়, রয়েছে ফোন। যদিও পরে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। জানান, না ফোন নয়, ওই মহিলার হাতে রয়েছে কোনও ধর্মগ্রন্থ।
Just like her on the dating app in Walmüller’s Die Erwartete (c. 1850): pic.twitter.com/Lakl0vCkri
— Peter A. Russell2291 (@Planet_Pedro) 23 October 2017
এরপরই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে আমরা এতটাই প্রযুক্তির মধ্যে বাস করছি, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে দেয়। আমার জায়গায় ১৮৬০ কিংবা সমসাময়িক কেউ থাকত, তাহলে সে বুঝত মহিলার হাতে কোনও ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে। কিন্তু এখনকার দিনের কেউ সেটা ভাবতে পারবে না। তাঁদের কাছে মনে হবে কোনও যুবতী হাতে স্মার্টফোন নিয়ে হাঁটছেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.