Advertisement
Advertisement

তিন সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দিতে কুলির পেশায় মা

এমনটা কেবল মায়ের পক্ষেই সম্ভব।

Bearing the burden! Story of India’s first woman coolie
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 26, 2018 7:40 pm
  • Updated:July 20, 2019 3:25 pm

সুব্রত বিশ্বাস: ‘সারি দুনিয়া কা বোঝা হাম উঠাতে হ্যায়’। ‘কুলি’ হয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। লাল উর্দির সঙ্গে বড় মাপের মেটাল হ্যান্ড ব্যাজই জানিয়ে দিয়েছিল তাঁর পরিচয়। আজও মুখে মুখে ফেরে সেই গান। তবে সময়ের সঙ্গে বাস্তব পালটেছে। চেহারাটা এখন এমন, প্রায় ৮০ শতাংশ কুলি রেল থেকে বিদায় নিয়েছে। ভাটার এই টানেও রুটিরুজির তাগিদে এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন এক নারী। সম্ভবত ভারতীয় রেলে একমাত্র মহিলা কুলি তথা সহায়ক সন্ধ্যাদেবী।

[প্রেমিক না থাকলে শ্লীলতাহানির ঝামেলাও নেই, ছাত্রীদের পরামর্শ বিজেপি নেতার]

Advertisement

স্বামীর মৃত্যুই এই পেশায় টেনে এনেছে সন্ধ্যাদেবীকে। দুই বছর আগের সেই স্মৃতি এখনও তাঁর মনে টাটকা। কিন্তু আট বছরের সাহিল, ছয় বছরের হরমিত এবং চার বছরের পায়েলের মা তিনি। এ বাস্তব তো মেনে নিতেই হবে। তাই সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দিতে দৈনিক ৪৫ কিলোমিটার পাড়ি দেন রুজির আশায়। জব্বলপুর থেকে ট্রেনে কাটনি। তারপরই মাথায় তুলে নেন যাত্রীদের বোঝা। পারিশ্রমিক পেলে তবেই না সংসার চলবে!

Advertisement

[বিয়েতে সায় নেই পরিবারের, থানাতেই বর-কনের চার হাত মেলাল পুলিশ]

হাড়ভাঙা খাটুনি, তবুও মহিলা বলে ব্রাত্য। বেশিরভাগ যাত্রীরা মহিলাকে শারীরিকভাবে দুর্বল ভাবেন। কিংবা মহিলাকে সম্ভ্রম করে এড়িয়ে চলেন। তবুও খাটনির খামতি নেই সন্ধ্যার। সারাদিন ট্রেন যাত্রীদের পিছনে ছুটে চলেন শুধুই অভাবের তাড়নায়। কাটনির স্টেশন মাস্টারের কথায়, পুরুষ বা মহিলা কুলির মজুরি নির্ধারিত করা রয়েছে রেলে। সেই অনুযায়ী অর্থ দেন যাত্রীরা। তবে পুরুষ না মহিলা কুলি তাঁরা নেবেন সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। রেলের লাইসেন্সধারী কুলি সন্ধ্যার মতে, খাটতে পারলে তবেই দু’পয়সা আসবে। তাই রোজকার ওই পরিশ্রম। সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে মায়ের এই প্রয়াস যাত্রীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে কাটনিতে।

[গ্রাম প্রধানের সঙ্গে বচসার জের, গাড়ি চাপা দিয়ে খুন ২ সাংবাদিককে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ