সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানকে দেখতে ভিন গ্রহের প্রাণীর মত। তাই তাঁকে বুকের দুধ খাওয়াতেও রাজি হচ্ছেন না মা। বিহারের কাটিহারের ঘটনা। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, হারলেকুইন ইকথিওসিস নামে একধরনের জিনগত সমস্যা রয়েছে। বিরল এই সমস্যার কারণে কারও ত্বক দেখে মনে হতে পারে প্লাস্টিকের তৈরি। কারও বা ত্বক ফেটে যায়। কারও আবার অঙ্গ বিকৃতিও ঘটে।
[ঠাকুরঘরের ক্ষেত্রে এগুলি মানেন তো? তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন]
সোমবার রাতে ওই শিশুপুত্রর জন্ম দেন চার সন্তানের মা বছর পঁয়ত্রিশের খালিদা বেগম। সন্তানকে প্রথমবার দেখেই চমকে যান ওই মহিলা। ছোট্ট মাথা, বিস্ফোরিত দুই চোখ, ত্বক যেন প্লাস্টিকের প্রলেপ লাগানো। ছেলেকে প্রথমবার দেখেই ঘাবড়ে যান মা। সন্তানকে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন তিনি। খালিদা বলেন, “বাচ্চার শরীরের অনেক অংশই ঠিকঠাকভাবে বেড়ে ওঠেনি। জন্মের পর ওকে যখন প্রথমবার দেখি আমি তো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ও পুরোপুরি ভিন গ্রহের প্রাণীর মতো দেখতে। আমার খুব কষ্ট লেগেছিল দেখেই। নার্সকে বলি ওকে সরিয়ে নিয়ে যান।” তবে শিশুটির বাবার বিশ্বাস, তাঁদের সন্তান হিন্দু দেবতা মহাবীরের অবতার।
নুসরিত শাহিন
চিকিৎসকরা বলছেন, ৩০০,০০০ নবজাতকের মধ্যে একজন এই সমস্যায় হারলেকুইন ইকথিওসিসে আক্রান্ত হয়। এই জাতকের নিয়মিত ভাবে পরিচর্যা দরকার। বিশেষ করে ত্বকের যত্ন। ১৯৮৪ সালে নুসরিত ‘নেলি’ শাহিন নামে এক শিশুকন্যার জন্ম হয়েছিল। রেকর্ড বলছে, হারলেকুইন ইকথিওসিসে আক্রান্ত প্রথম শিশু শাহিনই। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে ভাল আছেন তিনি। ২০১৬ সালে নাগপুরে এমনই এক শিশুর জন্ম হয়েছিল। যা ভারতে প্রথম। তবে দু’দিনের বেশি বাঁচানো যায়নি তাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.