Advertisement
Advertisement

Breaking News

গগনযানে মহাকাশে পাড়ি জমাচ্ছেন তিন ভারতীয়, মোটা অঙ্কের বরাদ্দ কেন্দ্রের

চতুর্থ দেশ হিসেবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত।

Centre nod for Gaganyaan mission
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 29, 2018 9:29 am
  • Updated:December 29, 2018 11:59 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : রাকেশ শর্মা গিয়েছিলেন। তবে সেটা ১৯৮৪ সালে। তিনিই প্রথম ও একমাত্র ভারতীয় নাগরিক যিনি মহাকাশে ঘুরে এসেছেন। রাকেশ গিয়েছিলেন রুশ যান ‘সোয়ুজ টি-১১’-য় চেপে। ভারত এ বার নিজেদের ‘গগনযান’-এ মানুষ পাঠাতে চলেছে। একজন নয়, তিনজন। টানা সাতদিন মহাকাশে কাটাবেন। ২০২২ সালে। তা করতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শুক্রবার বরাদ্দ করেছে দশহাজার কোটি টাকা। বৈঠকের পর এদিন সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

আর এই ‘গগনযান’ প্রোজেক্ট সফল করতে পারলেই ভারত হবে চার নম্বর দেশ, যারা মহাকাশে মানুষ পাঠাতে পেরেছে। দেশের ৭২তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘গগনযান’-এর কথা ঘোষণা করেছিলেন। মোদির ঘোষণার পরপরই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) চেয়ারম্যান ড. কে সিবান জানান, সংস্থার বিজ্ঞানীরা খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তবু ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের উড়ান ‘গগনযান’ সফল করতে সবরকম চেষ্টা করা হবে। পরিকল্পনা মতো, শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরোর তৈরি করা সবথেকে বড় রকেটে (জিএসএলভি এমকে lll) তিনজনকে মহাকাশে পাঠানো হবে। এবং ‘অ্যাস্ট্রোনট’ নয়, ওঁদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্যোমনট’। সংস্কৃতে ‘ব্যোম’ শব্দের অর্থ মহাকাশ।

Advertisement

[উবে যাচ্ছে আস্ত একটা গ্রহ, হতবাক বিজ্ঞানীরা]

তথ্য বলছে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ইসরো গবেষণার কাজে ১৭৩ কোটি টাকা খরচ করেছে। ২০০৮ সালে প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু হয়। ভারতীয় নভশ্চরদের মহাকাশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে রাশিয়া আগেই প্রস্তুত ছিল। মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্লাসরুমে নয়, এই প্রশিক্ষণ হবে একেবারেই হাতে কলমে। রুশ মহাকাশযানে এক বা একাধিক ভারতীয় নভশ্চরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এর ‘রাশিয়ান অরবিট সেগমেন্ট’-এ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে নিজস্ব ‘গগনযান’-এ ব্যোমযাত্রার চাপ সামলানোর আগে অনেকটাই তৈরি হয়ে নিতে পারবেন ভারতীয়েরা। মস্কো জানিয়েছিল, তাদের মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’ এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ইসরোর কর্তাদের মতে, এটা সত্যিই একটা বড় সুযোগ। তবে ভারত এখনও প্রস্তাবের জবাব দেয়নি। বিদেশমন্ত্রকের সূত্রের বক্তব্য, “কেমন কী খরচ পড়বে তা দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাশিয়া পুরনো বন্ধু। আশা করা যায়, দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ