Advertisement
Advertisement
Air India

মাঝআকাশে দু’বার হৃদরোগে আক্রান্ত যুবক, সহযাত্রীকে বাঁচাতে ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াই চিকিৎসকের

বিমানের 'এমারজেন্সি কিট' দিয়েই চিকিৎসা।

doctor battled for 5 hours to save the life of a flight passenger | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 5, 2023 3:44 pm
  • Updated:January 5, 2023 3:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসক হলেন মাটি-পৃথিবীর ঈশ্বর! চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে হাজার অভিযোগের পরেও অধিকাংশ মানুষ এমনটা বিশ্বাস করেন আজও। কারণ বিশ্বরাজ ভামেলার মতো চিকিৎসক রয়েছেন আমাদের আশাপাশে। যাঁর পাঁচ ঘণ্টার লড়াই বাঁচিয়ে দিল ৪৩ বছরের যুবককে। ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফেরার পথে দু-দু’বার মাঝআকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হন যুবক। বিমানের এমারজেন্সি কিট ব্যবহার করে, কার্যত খালি হাতে ওই যুবককে বাঁচান ডাক্তার ভামেলা।

বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে হেপাটোলজিস্ট ডাক্তার বিশ্বরাজ ভামেলা। লিভার, প্যাংক্রিয়াস, গলব্লাডার ইত্যাদির বিশেষজ্ঞ। এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে (Air India) মাকে সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) ফিরছিলেন। তাঁর সামনেই সহযাত্রী যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চুপ করে বসে থাকতে পারেননি ভামেলা। সাধ্য মতো সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। যদিও তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নন। তাছাড়া সঙ্গে ছিল না ওষুধ ইত্যাদি। তথাপি লড়াই চালাতে প্রথমে বিমানের এমারজেন্সি কিট চেয়ে নেন তিনি। তা থেকে কাজে লাগাতে পারেন কেবল অক্সিজেন। তবে ক্রমাগত হাতের চাপে হৃদযন্ত্র পাম্প করে যান তিনি। কৃত্রিম ভাবে শ্বাস চালান রোগীর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অসন্তুষ্ট রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়, চিন্তার ভাঁজ বিজেপির কপালে]

ঘটনার আকস্মিকতায় বিমানের অন্য যাত্রীর ভীত হলেও চিকিৎসককে সাহায্য করেন তাঁরা। তাঁরাই দেন পালস অক্সিমিটার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, হার্ট-রেট মনিটর, গ্লুকোজ মিটার ইত্যাদি। যা কাজে লাগান চিকিৎসক। এরপরেও যুবকক বাঁচাতে পারার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না ভামেলা। এর মধ্যে পাকিস্তানে বিমানের জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট কিন্তু অনুমতি মেলেনি। শেষ পর্যন্ত মুম্বই (Mumbai) পৌঁছায় এয়ার বিমানটি। হৃদরোগে আক্রান্ত যাত্রীকে দ্রুত মুম্বইয়ের হাসাপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করে বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া।

এদিকে অসাধ্য সাধন করে নিজেকেই যেন চমকে দিয়েছেন ডাক্তার বিশ্বরাজ ভামেলা। তিনি বলেন, “আমি যখন যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করছি আমার মা তখন হাউহাউ করে কাঁদছেন। আমি তো হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নই। ডাক্তারি পড়ার শুরুতে প্রাথমিক পাঠ ছিল। সেটুকুই। তাই বলে ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায়! গত সাত বছর ডাক্তারি করছি। এমন পরিস্থিতি পড়লাম প্রথমবার।” নিজেই জানান, “মুম্বই বিমান নামার সময় যুবক কিছুটা ধাতস্থ হয়। কথা বলতে পারছিল। আমাকে বলে, আপনি আমার জীবনে বাঁচিয়েছেন। এই ঋণ শোধ করতে পারব না।” 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ