Advertisement
Advertisement

মাতৃত্ব এবং কর্তব্য, দুটোই একসঙ্গে সামলাচ্ছেন ঝাঁসির ‘Mother Cop’

প্রশংসায় ভাসছেন ওই মহিলা।

Jhansi: Mom cop with baby At work goes Viral
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 28, 2018 4:18 pm
  • Updated:October 28, 2018 7:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে মাতৃত্ব অপরদিকে কর্তব্য। কোনটি বেছে নেবেন? সন্তানকে তো কোনও মা-ই অবহেলা করতে পারেন না। আবার কর্তব্য তাও সমাজে শান্তিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সেটাই বা অবহেলা করেন কী করে। কিন্তু মাতৃত্ব-আর কর্তব্যের এই মেলবন্ধন কী আদৌ সম্ভব? কঠিন এই কাজটিই একসঙ্গে করছেন আগ্রার অর্চনা জয়ন্ত।

[সেরার শিরোপা জয়ের খুশিতে মঞ্চেই বেহুঁশ মিস প্যারাগুয়ে, ভাইরাল ভিডিও]

পুলিশের পোশাক পরা অর্চনা জয়ন্ত চেয়ারে বসে একটি খাতার উপর কিছু লিখছেন। তাঁর ঠিক সামনেই উঁচু টেবিলে শোয়ানো একটি শিশু। যেখানে বাচ্চাটিকে শোয়ানো রয়েছে টেবিলের সেই অংশটা সামনের দিক থেকে আটকানো। ফলে সামনে থেকে কারও বোঝার উপায় নেই যে ওখানে একটি শিশু রয়েছে। এমনই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আপাতত এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ছবিটি আসলে উত্তরপ্রদেশএর ঝাঁসির কোতোয়ালি থানার। অর্চনা জয়ন্ত নামের এই কনস্টেবল এলাকায় পরিচিত ‘মাদার কপ’ নামে। একই সঙ্গে একার হাতে নিজের বাচ্চা সামলাচ্ছেন, গাফিলতি করছেন না কর্তব্যেই। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছে নেটদুনিয়া।

Advertisement

আদতে অর্চনা আগ্রার বাসিন্দা। কিন্তু কর্মসূত্রে তাঁকে থাকতে হচ্ছে ঝাঁসিতে। স্বামী পরিবার সঙ্গে থাকেনা। কিন্তু সঙ্গে রয়েছে ৬ মাসের সন্তান। কর্তব্যের বেড়াজালে পড়ে সন্তানের লালন-পালনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে শিশুটিকে নিজের সঙ্গেই নিয়ে থানায় যান অর্চনা। দিনভর দায়িত্বও সামলান, মেয়ের দেখাশোনাও করা হয়।

Advertisement

[অবাক কাণ্ড, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়েই উপার্জন করেন এই কোম্পানি কর্মীরা!]

কিন্তু কীভাবে দুদিক একসঙ্গে সামাল দেন অর্চনা? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘মাদার কপ’ বলছেন, “সমস্যা হয়, কিন্তু আমার কাছে দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাজের মাঝেই মেয়ে অনিকার দেখাশোনা করতে হয়।” কিন্তু সবসময় তো আর মেয়ের কাছে থাকা সম্ভব হয় না। অর্চনা বলেন, “অনেক সময়ই থানার বাইরে যেতে হয়। তখন সহকর্মীদেরই বলি অনিকার খেয়াল রাখতে। আগ্রায় ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করেছি, ট্রান্সফার হয়ে গেলে আমাকে আর ওর দেখাশোনা করতে হবে না, সমস্যা অনেকটাই মিটবে। “

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ